206670

ট্রাম্প-কিম সম্মেলন নিয়ে কি ভাবছে উত্তর কোরিয়রা ?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠক যখন বৈশ্বিক গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম পিয়ংইয়ংয়ের প্রেক্ষাপট পুরোপুরিই ভিন্ন। কোরিয় মিডিয়াগুলো এই সম্মেলনকে কাভার করছে ভিন্ন উপায়ে। বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট

উত্তর কোরিয়ায় গণমাধ্যমের ওপর কড়া নজরদারি ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বিধি-নিষেধ রয়েছে। রাষ্ট্রায়াত্ত টিভি চ্যানেলে সাধারণ নাগরিকদের খুব কমই দেখা যায়, সম্মেলন নিয়েও কথা বলার দৃশ্য বিরল। কোরিয় সেন্ট্রাল টিভিতে দেখা যায় এক নাগরিক বলছেন, ‘আমাদের সম্মানিত নেতাকে যখন টিভিতে দেখে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। আমাদের প্রিয় নেতা দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’ আরেকজন বলেন, ‘গতকাল আমি শুনেছি আমাদের নেতা বিদেশে গিয়েছেন। আজ আমার ডে-অফ কিন্তু আমি আমার নেতাকে খুশি করতে কাজ করতে যাচ্ছি।’ বাসে করে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া অবস্থায় এক নারী বলেন, ‘আমি যখন শুনেছি তিনি অন্য দেশে গিয়েছেন তাকে মিস করছি, তাকে ছাড়া আমরা কিছু ভাবতে পারি না। যখন আমার নেতা এত দূরের একটি দেশে গিয়েছেন, আমিও মনে করি নাগরিক হিসেবে আমাদেরও কিছু করা দরকার।’

এদিকে ভিয়েতনামে মঙ্গলবার হ্যানয়ের হোটের দিকে কিমের গাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তার পাশ থেকে এক উত্তর কোরিয় নাগরিক চিৎকার করে বলেন, ‘আমাকে দেশে ফিরতে দিন’। ২০০৩ সালে দেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। ৩০ বছরের শিন বলেন, আমি আশা করি একদিন আমিও ট্রেনে চড়ে দেশে যাব যেমনটি কিম এসেছেন। প্রসঙ্গত ১৯৫০-৫৩ পর্যন্ত কোরিয় যুদ্ধ ৩০ হাজারেরও বেশি উত্তর কোরিয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের শিকার হয়ে কোরিয়া ছেড়েছেন। শিন আরো বলেন, ‘তার দেশ ছাড়ার সময় কিমের বাবা কিম জং ইল ক্ষমতায় ছিলেন। শিন জানান, উত্তর কোরিয়াতে তারা ইশ্বরের মতো। কেউ তাদের নামও উচ্চারণ করেন না।’

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.