চক বাজারে আগুন লাগার আগে সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে দোলা ও বৃষ্টিকে
অনলাইন সংস্করণঃ- চকবাজারে আগুন লাগার ঘটনার রাতে নিখোঁজ ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টি ও তার বান্ধবী রেহনুমা দোলাকে দেখা গেছে ওই এলাকার সিসিক্যামেরার ফুটেজে। ১০টা ২৫মিনিট ১৭ সেকেন্ডে ঘটনাস্থলে একটি রিকশায় বসে গল্প করছিলো। তাদের দেখে চিনতে পেরেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সন্তানদের খুঁজতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন দুই পরিবার। ৭১ টিভি।
২০ ফেব্রæয়ারি শিল্পকলা একাডেমির কবিতা আবৃতির অনুষ্টানে যেতে নিজ হাতে মেয়েকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন মা সুফিয়া বেগম। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে দোলার কথা হয়েছিলো বাবার সাথেও। কথা ছিলো শাহী মসজিদের সামন থেকে যেতে হবে।
রেহনুমা তারাম্মুম দোলার বাবা দলিলুর রহমান দুলাল বলেন, সিসিক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে দুজনকে। দোলা ছিলো ডানে বামে ছিলো বৃষ্টি। দুজনে হেসে গল্প করছিলো। গত ৬দিন আশা নিরাশার দোলায় চলছে দুই বান্ধবীর বাবা মা। কিন্তু সোমবার সিসিক্যামেরার ফুটেজ দেখে মর্মান্তিক সত্যের মুখোমুখি হয় এই দুই পরিবার। ওদের ফোনের সর্বশেষ অবস্থান ছিলো চকবাজার। যেখানে ৬ মিনিট আগেই তাদের লোকেশন ছিলো চুড়িহাট্টা মোড়ে।
ভেঙ্গে পড়েছেন মা সুফিয়া বেগম। শূন্য দৃষ্টিতে এখনো আশায় আছেন অসহায় বাবা। তিনি আরো বলেন, চার জনের একটি পৃথিবী ছিলো আমাদের। আমরা জানিনা কিভাবে বেঁচে থাকবো ওকে ছাড়া। আমি পিছনে তাকাতে পারছি না, পিছনে তাকালে হয়তো সামনের পথ চলতে পারবোনা।
দোলার মা বলেন, আমাদের শুধু দুটি মেয়েই,এরাই ছিলো আমার ভবিষ্যত। এখন একজনকে নিয়ে কি করে বাঁচবো।
সিসিক্যামেরায় দেখবার পর শেষ আশাটাও হায়িছে বৃষ্টির পরিবারের। কারও সাথেই কথা বলতে পারছে না বৃষ্টির পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের এমন অসহায় অবস্থাতেই মেয়েদের সন্ধান দেবার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র। মর্গে থাকা সনাক্তহীনদের মধ্যে দোলা বৃষ্টি আছে কিনা তা যাচাই করতে ডিএনএ পরিক্ষার নমুনা দিয়েছে এই দুই পরিবার।
সূত্র আমাদেরসময়.কমঃ