‘অমূল্য রতন’ খুঁজতে ২০১৯-এই সমুদ্রে ডুব দেবে ভারত
ডেস্ক রিপোর্ট: সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে এক বিশাল খনিজ ভাণ্ডার। কেউ কেউ বলেন সেখানে খোঁজ মিলতে পারে সোনা-রূপোরও। মূল্যবান সেই খনিজ সম্পদের খোঁজে শীঘ্রই সমুদ্রের গভীরে ডুব দিচ্ছে ভারতের বিজ্ঞানীরা।
সমুদ্রের তলদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রচুর কালো আলুর মত দেখতে পাথর। সেগুলি আসলে খনিজের মিশ্রণ। জানা গিয়েছে ওইসব পাথর থেকে বেরবে কপার, নিকেল, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন সহ একাধিক বিরল ধাতু। এগুলি আধুনিক প্রযুক্তির কাজে লাগতে পারে বলেও জানাচ্ছেন গবেষকরা। স্মার্টফোন, গাড়ি, সোলার প্যানেল তৈরিরে কাজে লাগবে এগুলি। আর এর মূল্য অনেক।
২০১৯-এ এই প্রজেক্ট শুরু করছে ভারত। রয়টার্সের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই প্রজেক্ট নিয়ে খুবই উৎসাহী ভারত। কারণ, এইসব জিনিসের জন্য চিনের উপর নির্ভর করতে হয় ভারতকে। ডিফেন্স ও অ্যাভিয়েশনের ব্যবহারের জন্য এগুলি লাগে। আর এইসব খনিজের ৯০ শতাংশই উৎপন্ন হয় চিন থেকে। বিশেষ কপার, নিকেল ও কোবাল্ট সংগ্রহের ক্ষেত্রে আগ্রহ রয়েছে ভারতের।
আগামী বছর দশেকে ১ বিলিয়ন ডলার এই প্রজেক্টে খরচ করবে ভারত। একটি বিশেষ যানও তৈরি করা হচ্ছে।
এই যানে চেপে সমুদ্রের তলায় ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে মানুষ। একটি যানে তিন পর্যন্ত যেতে পারবে। সেখানে থাকা মূল্যবান খনিজের সন্ধানও করতে পারবে সহজেই। আরও অনেক প্রাণ আবিষ্কারও হতে পারে। এই যান তৈরি হলে বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি হবে ভারত, যারা যানে চেপে সমুদ্রের তলায় যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে চিন, রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স ও জাপানের হাতে এই ক্ষমতা রয়েছে।
NIOT নামে এক সংস্থা এই যান তেরি করবে বলে সূত্রের খবর। একটি জাহাজ থেকে জলের তলায় ডুবে যাবে ওই যান। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা থাকতে পারবে সেখানে। একটি রোবোটিক হাত থাকবে যেটি সমুদ্রের তলদেশ থেকে বিভিন্ন স্যাম্পল নিয়ে আসতে পারবে। কাঁচ থেকে বাইরের দৃশ্য স্পষ্ট দেখা যাবে। টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি হবে এই যান। এটি জলের চাপ সহজেই সহ্য করতে পারে।
কলকাতা২৪