195186

ভারতে চিকিৎসায় এসে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার আইরিশ তরুণী

মানসিক অবসাদ কাটাতে গেলো এপ্রিলে ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন ডাবলিনের তরুণী লিজা স্ক্রোমান। ভারতের কেরালায় অবস্থিত থিরুভাল্লাম আশ্রমে গিয়েছিলেন লিজা। অরণ্য ঘেরা আশ্রমের মধ্যে চিকিৎসার পাশাপাশি খুঁজেছিলেন শান্তি। কিন্তু ঘাতকেরা তার জীবন প্রদীপই নিভিয়ে দিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত এপ্রিলের ২১ তারিখে বনের একটি গাছে তার ক্ষত-বিক্ষত শরীর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পর জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন লিজা।

পশ্চিমের নারী হলেও ৩৩ বছরের লিজা আয়ুর্বেদের প্রতি বেশ দুর্বল ছিলেন। একারণেই মনের অসুখের চিকিৎসায় বেছে নিয়েছিলেন ভারতের কেরালায় অবস্থিত থিরুভাল্লাম আশ্রমকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আশ্রমের আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যান লিজা। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামলে বনের ভেতর লিজার রক্তাক্ত মরদেহের সন্ধান পায়।

এই ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে লিজাকে তারা নেশাদ্রব্য খাওয়ায়। কিন্তু তারপরেও অর্ধচেতনায় লিজা তাদের বাধা দিলে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্ষকেরা।

লাটভিয়ার নাগরিক স্ক্রোমান বেশ ক’বছর ধরেই আয়ারল্যান্ডে বসবাস করতেন। মানসিক অবসাদের কারণে চিকিৎসার জন্য যে তিনি ভারতে গিয়েছেন তা বোনকে বলেও যান। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর লিজার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দূতাবাসকে জানায় তার বোন। এমনকি ভারতেও চলে আসে সে।

মিররকে লিজার বোন লিজ জানায়, এর আগেও ভারতে একাধিকবার গিয়েছিল লিজা। কেরালার প্রতি তার প্রচণ্ড আকর্ষণ ছিল। তবে বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটলেও শুধুমাত্র দু’জন অপরাধীর জন্য কেরালাকে তার পরিবার ঘৃণা করতে পারবেন না বলেও জানান লিজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ লিজার মরদেহ হস্তান্তরের পর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কেরালার থিরুভাল্লাম আশ্রমেই অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, অভিযুক্ত দুই ধর্ষক এখন বিচারের অপেক্ষায় কারাগারে রয়েছে।

উৎসঃ poriborton

পাঠকের মতামত

Comments are closed.