195203

দুবাই রাজকুমারী কোথায়, জানতে চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

দুবাই রাজকুমারী শেখ লতিফা কোথায় আছেন তা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

গত মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ’ লতিফাকে নিয়ে নানা খবর রটার মধ্যেই সম্প্রতি সংস্থাটি এ আহ্বান জানিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, রাজকুমারী শেখ লতিফা কোথায় আছেন এবং তার আইনগত অবস্থা কি সেটা অবশ্যই দুবাই কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা উচিৎ।

সংস্থাটি বলেছে, রাজকুমারী কোথায় আছেন এবং কী অবস্থায় আছেন সেটা প্রকাশে ব্যর্থ হলে এটিকে গুম বলেই ধরা হবে। কারণ এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে রেখেছে।

দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমের মেয়ে ৩২ বছর বয়সী শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম ইউটিউবে এক ভিডিও পোস্টে জানিয়েছিলেন, তিনি দুবাই থেকে পালাচ্ছেন, কারণ সেখানে তিনি পরিবারের হাতে নানা দুর্ব্যবহারের শিকার এবং তার ওপর নানা ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

ওই ভিডিও পোস্টে শেখ লতিফা জানিয়েছিলেন, তার বাবা হচ্ছেন দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম এবং মা আলজিরিয়ান হুরিয়া আহমেদ। তিনি এর আগেও দুবাই থেকে পালানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরের মাসেই দুবাই সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছিল, এই পালিয়ে যাওয়া ‘রাজকুমারী’ দুবাইতে ফিরে এসেছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, গত ৪ মার্চ যখন শেখ লতিফা সমূদ্র পথে তৃতীয় একটি দেশে পালাচ্ছিলেন, তখন তাকে মাঝপথে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি গ্রুপ ‘ডিটেইনড ইন দুবাই’ও রাজকুমারী শেখ লতিফার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার। তারা বলছে, শেখ লতিফা যে নৌযানে করে পালাচ্ছিলেন, সেটি ভারত উপকুলের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে থামানো হয়েছিল। তার সঙ্গে নৌযানে ছিল এক বন্ধু এবং ফিনল্যান্ডের এক নারী।

অবশ্য এর আগেও খবর বেরিয়েছিল যে, রাজকুমারী লতিফা তার এক বান্ধবী, যিনি ফিনল্যান্ডের নাগরিক, এবং ফরাসী একজন সাবেক গোয়েন্দার সহযোগিতায় একটি প্রমোদতরী ভাড়া করে গোপনে ভারতে রওয়ানা হয়েছিলেন।

তার পরিকল্পনা ছিল, ভারত থেকে তিনি বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে খবর হয়, গোয়ার উৃপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারতের ন্যাভাল কমান্ডোরা ইয়টটি আটক করে প্রিন্সেস লতিফাসহ অন্য দুজনকে দুবাই কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেয়।

ভারতীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমেও এ খবর প্রকাশিত হযেছে। তবে ভারত সরকার বা ভারতীয় নৌবাহিনী অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.