195222

গণধর্ষণের ঘটনা মোটা টাকায় রফা করে মেয়েকে নিয়ে গেল মা

মোটা অংকের টাকার দফারফায় মামলা না করে রাজশাহী থেকে ধর্ষিত মেয়েকে নিয়ে গেলেন তার মা। শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি থেকে মেয়েটিকে বুঝে নিয়ে তারা ঢাকার উদেশ্যে রওনা দেন। মামলা করতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবির।

রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানার মুসরইল এলাকায় দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই মেয়েটি (৩৫) গত ২ মে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ছিলেন। সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। ওই দিন নিজে থানায় গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানালে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ তাকে ওসিসির হেফাজতে পাঠায়। প্রেমের টানে গত ২ মে খুলনা থেকে ওই মেয়েটি রাজশাহী এসেছিল।

চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, শুক্রবার রাতে মেয়েটির মা ঢাকা থেকে রাজশাহী আসেন। তাকে মামলা করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তার মেয়ে খারাপ। এর আগেও বাড়ি থেকে চলে গিয়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মেয়েটির মা পুলিশকে জানিয়েছে। পরে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেয়েটিকে তার মায়ের হেফাজতে দেয়া হয়।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ধর্ষণকারীদের মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশলী পরিবারের ছেলেরা ছিল। তারা সবাই স্কুল ও কলেজের ছাত্র। তাদের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের মাধ্যমে ধর্ষিত মেয়ের মাকে ম্যানেজ করে এক লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নেন। তবে মেয়ের মা কত টাকা পেয়েছেন তা জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে মেয়েটির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার দেখা পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২ মে সকালে ওই নারী চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে জানায় সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির হেফাজতে দেয়া হয়। ওই মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছিল মুসরইলের এক ছেলের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় ঘটে। সে পরিচয়ের জের ধরে গত ১ মে ওই নারী রাজশাহীতে আসে এবং ওই ছেলের বাড়িতে যায়। কিন্তু ওই ছেলের বাবা-মা তাকে মেনে নেয়নি। পরে ওই ছেলের দুই বন্ধু তাকে নিয়ে যায়। রাতে একটি লিচু বাগানে নিয়ে গিয়ে কয়েজন তাকে ধর্ষণ করে।

উৎসঃ পূর্বপশ্চিম

পাঠকের মতামত

Comments are closed.