194375

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বাজি, গলাকাটা সেই যুবক জীবিত ধরা

ডেস্ক রিপোর্ট  : নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের পক্ষে দেড় লাখ টাকা বাজি ধরেছিল আদল নামে এক তরুণ। কিন্তু বাজিতে হেরে গিয়ে পড়ে বিপাকে। যাতে ওই টাকা দিতে না হয় সেজন্য তৈরি করে মিথ্যা খুন হওয়ার ভিডিও।

তার এই কাজে সহায়তা করে তার এক বন্ধু। সেইসঙ্গে ওই ভিডিও পাঠানো হয় পরিবারের কাছে। ছড়িয়ে দেয়া হয় ফেসবুকে। বর্তমানে ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল।

এদিকে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া গলা কেটে হত্যা করা যুবক জীবিত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যুবকের বাড়ি ফেরার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই যুবককে দেখতে তার বাড়িতে শত-শত উৎসুক এলাকাবাসী ভিড় জমান।

ফেসবুকে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি টিনের ঘরের মধ্যে সঙ্গে থাকা দুইজন এক যুবককে ব্লেড দিয়ে গলাকাটার চেষ্টা চালায়। গলাকাটা রক্তাক্ত ছবি মোবাইলে ধারণ করে আরও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি।

এরপর মৃত যুবকের মোবাইল দিয়ে প্রথমে তার ছোট ভাই সাইদুর শিকদারের মোবাইলে একটি ভয়েস বার্তা পাঠানো হয়। ওই ভয়েস বার্তায় মৃত যুবক বলেন, আমি জীবিত থাকলে তোরা আমাকে বুধবার দেখতে পারবি।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে সদরপুর থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতার যুবক আদেল শিকদার (২৫) ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চর ব্রাহ্মণদী গ্রামের বাবু শিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে ফেসবুকে ব্লেড দিয়ে গলাকাটা রক্তাক্ত ছবি মোবাইলে ধারণ করে ছড়িয়ে দেয় আদেল শিকদারের বন্ধুরা। এরপর ওই ভিডিও সারাদেশে ফেসবুকের শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্যে পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা দল মাঠে নামে। ঢাকার তেজগাঁও থেকে আদেলের সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি বিশেষ দল।

এ ব্যাপারে আটক আদেল শিকদার জানান, তিনি ঢাকার একটি হোটেলে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। গত রোববার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলায় ঢাকার বেগুন বাড়ি এলাকার প্রকাশ নামে তার এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেন। বাজিতে হেরে তিনি এ কাণ্ড ঘটান।

এরপর মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি তার ছোট ভাইয়ের মোবাইলে ট্যাগ করেন। কাকতালীয়ভাবে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন আদেল।

এলাকাবাসী জানায়, আদেল এলাকায় গরু-ছাগল চুরি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। বাড়ি থেকে টাকা নেয়ার জন্য মোবাইলে হত্যার একটি প্রতারণামূলক ভিডিও এবং ছবি ধারণ করে।

এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের এসআই মো. শাহিন খান জানান, এদের বিরুদ্ধে ঢাকার তেজগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। এ চক্রের আরও দুইজনকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে তেওগাঁও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। জাগো

পাঠকের মতামত

Comments are closed.