183554

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংসতা বাড়ছে

সজল সরকার: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে ঠিক একইভাবে সমাজে সহিংসতাও বাড়ছে। বিভিন্ন দেশের প্রশাসন এখন সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যমের খবর নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। খবর নিশ্চিত না হয়েই বিভিন্ন গোষ্ঠী কোন না কোন ঝামেলায় সৃষ্টি করছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবরে সহিংসতা সৃষ্টির পর টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা ইভান উইলিয়াম ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ তাদের হতাশাও প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে সৃষ্ট সহিংসতার পিছনে মূল কারণ হচ্ছে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি। ফেসবুক বা টুইটার ব্যবহারকারীদের অনেক ধরণের সচেতনতা সৃষ্টির পরও ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি কমছে না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ব্রিটিশ শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুয়া খবররের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি শুরু করেছে। তবে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার গত সপ্তাহের জরিপ রিপোর্টে দেখা যায় ফেসবুক ও টুইটার উভয় সাইটে সহিংস খবরের সাগর যেভাবে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুয়া খবর খুবই প্রভাবিত করেছিল পরিবেশকে বলে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে। তবে ইন্টারনেট অনেক বেশি খোলামেলা হওয়ার কারণেও সহিংসতা বাড়ছে বলে টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা ইভান জানান। তিনি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা অফিসে ও বাসায় সর্বত্রই ইন্টারনেট পাচ্ছি খুব সহজেই এবং আমরা ঠিকমত জানিও না যে এই সহজলভ্য ইন্টারনেট দিয়ে আমরা কী করব? সুতরাং অনেকেই ইন্টারনেটের সহজলভ্যতাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে পারে।’ বিশ্বব্যাপী মানুষকে এতটা সহজে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও তার একটা সীমা থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা।

সূত্রঃ দ্য হুট

পাঠকের মতামত

Comments are closed.