182632

মোহেনজো দারো বাঁচানোর আহ্বান

সজল সরকার: জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা ‘মোহেনজো দারো’ মুক্তির পর যতটা না চলচ্চিত্র নিয়ে মাতামাতি হয়েছিল তার চেয়েও বেশি মনোযোগ ছিল প্রাচীন ব্রোঞ্জ সভ্যতার নিদর্শন মোহেনজো দারো সভ্যতার দিকে। এশিয়া মহাদেশের প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোহেনজো দারো সভ্যতা। তৎকালীন ভারতবর্ষে (এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পড়েছে) যে সভ্যতার শুরু হয় তা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। ছোটদের ইতিহাস বইয়ে মানব সভ্যতা বা দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের উত্থানের বিবরণে এ মোহেনজো দারো’র কথা বলা আছে।

প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরোনো এ সভ্যতার পিছনে লুকিয়ে সিন্ধু সভ্যতার হাজারো রহস্য। খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার সালে মোহেনজো দারো সভ্যতার শুরু। দক্ষিণ এশিয়ার মানব বসতি ও সভ্যতা শুরুর অনেক অজানা তথ্য রয়েছে এখানে যা দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান বৈরী সম্পর্ক এবং পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী বিচরণ এ সভ্যতার অনেক কিছই ধ্বংস করেছে। জার্মান গবেষক মাইকেল জানসেন বলেন, ‘প্রত্যেকেই মিশরের আদি সভ্যতার কথা জানে কিন্তু মোহেনজো দারোকে কেউ জানে না। এ সভ্যতার অনেক নিদর্শনই এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যদি এখনই মোহেনজো দারো রক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে হয়ত এ ঐতিহ্য ও ইতিহাস একেবারেই মিশে যাবে ধুলার সাথে।’

পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ সভ্যতা রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুুলিশ প্রশাসনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে। অরক্ষিত এ জায়গাটি মানুষজনের যথেচ্ছা চলাচলের ফলে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ২০১৪ সালে একটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরঞ্জাম বসানো ও বাজি ফোটানোর ফলে স্থাপত্য শিল্পের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ এখানে কোন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। তবে প্রাচীণ সভ্যতার এ জায়গাটি এখনও পর্যটকদের জন্য নিরাপদ নয়। বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসতে ভয় পায় নিরাপত্তার অভাবে।

সূত্রঃ ডন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.