182668

আমাকে অযোগ্য বলে অপমান করত অমৃতা : সইফ আলি খান

কেরিয়ারে সাম্প্রতিককালে হিট তেমন নেই। তবে ব্যক্তিগত জীবনে এখন বেশ সুখে রয়েছেন সইফ আলি খান। যাবতীয় ক্রেডিট বেগম করিনা ও ছেলে তৈমুরের। এতদিনে যেন জীবন একটু স্থিতিশীল হয়েছে তাঁর। কিন্তু এর মাঝেই সামনে এল তাঁর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি। সেই কারণ। যার জন্য অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁর।

বয়সে প্রায় পনেরো বছরের বড় অমৃতার সঙ্গে একপ্রকার বাড়ির অমতেই বিয়ে করেছিলেন সইফ। এ নিয়ে বি-টাউনেরও কৌতূহলের অন্ত ছিল না। এত কিছু সত্ত্বেও ১২ বছরেরও বেশি টিকে গিয়েছিল সে বিয়ে। কিন্তু ২০০৪ সালে হঠাৎই সামনে আসে দু’জনের বিচ্ছেদের খবর। তা নিয়ে কখনওই সইফ-অমৃতা কেউই মুখ খোলেননি। কিন্তু এতদিন বাদে সামনে এসেছে সইফের ২০০৫ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার। যাতে নিজের স্বভাববিরুদ্ধভাবে অমৃতার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বলিউডের নবাব। সইফ তাতে জানিয়েছিলেন, অমৃতা নাকি হামেশা তাঁকে ‘অযোগ্য’ বলে খোঁটা দিতেন। তাঁর মা ও বোনকেও নাকি অপমান করেছিলেন তিনি।

সইফ আরও জানান, বিচ্ছেদের পর ৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন অমৃতা। প্রায় ২.৫ কোটি টাকা দিয়েও ছিলেন তিনি। তাছাড়াও প্রতি মাসে ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে দিতেন। যতদিন পর্যন্ত না সে ১৮ বছর বয়স পার হচ্ছে। আবেগঘন সইফ তখন জানিয়েছিলেন, শাহরুখের মতো রোজগার নেই তাঁর। তবে নিজের ছেলে-মেয়ের জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত খেটে যাবেন। তাঁদের সমস্ত চাহিদা পূরণ করবেন।

সে সাক্ষাৎকারে সইফ এও জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেমিকা রোজার সঙ্গে তিনি কতটা সুখী রয়েছেন। কারণ তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন। তবে সে সব এখন অতীত। রোজার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে নবাবের। ২০১২ সালে করিনার সঙ্গে ফের সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। তারপর আসে তৈমুর। এখন সব ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চান তিনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.