182536

সুইডেনে নারী বৈষম্য !

সজল সরকার: সম-অধিকারের দেশ হিসাবে পরিচিত সুইডেনেও রয়েছে নারী বৈষম্য। পরিপাটী এ দেশটিতে ৮০ ভাগ মা-ই চাকরি করে এবং দেশের শিক্ষিত নারীর অধিকাংশই রয়েছে কর্মক্ষেত্রে। তবে উন্নত বিশ্বের দেশ হওয়া সত্বেও সুইডেনে রয়েছে ব্যাপক নারী বৈষম্য। দেশের বেশির ভাগ নারী চাকরি করলেও কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব স্থানে নেই কেউই।

সুইডেন সাধারণত নারী-পুরুষের সমতার দেশ হিসাবেই বর্হিবিশ্বে পরিচিত। শুধু স্থানীয় বাসিন্দাই নয় বরং বিশ্বের যেকোন দেশের নারীরাও এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি করছে। এশিয়ার মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভুত জনগণই সুইডেনে বেশি। আমান্দা নামের এক ভারতীয় সুইডেনে বেশ পড়াশোনা শেষ করে কয়েক বছর চাকরি করার পর এখন নিজেই ব্যবসা শুরু করেছেন। বেশ কয়েক দিনের মধ্যে বেশ সফলতাও পেয়েছেন ৩২ বছর বয়সী আমান্দা। ব্যবসায় অর্থনীতিতে পড়াশোনা করা আমান্দার ক্যারিয়ার ও ব্যবসা দেখে সুইডেনের সমস্ত নারীর অবস্থান চিন্তা করলে অবশ্য ভুল হবে। অলব্রাইট রিসার্চ এক গবেষণায় জানাচ্ছে সুইডেনের সুইডেনে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নেতৃত্ব দানে বেশি নেই নারীরা। ২০১৬ সালের এক হিসাবে দেখা যায় সুইডেনের ৮০ ভাগ অফিসের ব্যবস্থাপক পদে রয়েছে পুরুষরা। স্টক মার্কেটের নতুন কোন ব্যবসায় নারী বস নেই।

সম অধিকারের দেশ হওয়া সত্বেও কেন নারীরা নেতৃত্ব দানে পিছিয়ে আছে এ দেশে? আমান্দার মতে, চিরাচরিত নিয়মই এর জন্য দায়ী। যদি সুইডেনে নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কাজ করে তাতে কোনই সমস্যা নেই কিন্তু ধারাবাহিক নিয়ম বা রীতির ফলে এখানেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রেওয়াজই বজায় রয়েছে। পরিবারে মা-ই সব সময় সন্তান লালন পালন করবে এবং বাবা অফিস করবে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা নিজে এবং চিরাচরিত সামাজিক রীতি বাঁধা হিসাবে কাজ করে বলেই মনে করেন আমান্দা।

সূত্রঃ বিবিসি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.