182524

যে সকল কারণে দু’আ কবুল হয় না

জামাল হোসেন: আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা দু’আ করে কিন্তু কবুল হয় না। যা চায় তা পায় না। এই না পাওয়ার পিছনে কিছু কারণ আছে, যেমন – দু’আ তে কিছু চেয়ে তাড়াতাড়ি ফলাফল আশা করা। এখন কথা হল দয়া করার পরই যে কবুল হবে তা জরুরি নয়।

আমাদের সৃষ্টিকর্তার কিছু হেকমত আছে। আল্লাহ্‌ সর্ব জ্ঞানী, সর্বশ্রেষ্ঠ তিনি সৃষ্টি কূলের সব কিছুর খবর জানেন তাদের ভবিষ্যৎ ও। তাই আল্লাহ্‌ জানেন কিসে আমাদের ভালো কিসে মন্দ। আমরা আমাদের জন্য যা চাই তা আমাদের জন্য ভালো নাও হতে পারে। আর যা চাই না তা আমাদের জন্য মঙ্গলকর। তাই দু’আ তে যা চাওয়া হয়েছে তা না পাওয়ার মানে এই নয় যে আল্লাহ্‌ কিছু দিলেন না। প্রিয় নবী (সঃ) বলেন, “কোন মুসলিম যখন আল্লাহ্‌র নিকট এমন দু’আ করে, যাতে পাপ ও জ্ঞাতিবন্ধন ছিন্নতা নেই, তখন আল্লাহ্‌ তাকে তিনটের একটা দান করে থাকেন; সত্বর তার দু’আ মঞ্জুর করা হয় পরকালের জন্য তা জমা রাখা হয় অথবা অনুরুপ কোন অকল্যাণকে তার জীবন হয়ে দূর করা হয়”। লোকেরা বলল, ‘তাহলে আমরা অধিক অধিক দু’আ করব’। তিনি বললেন, “আল্লাহও অধিক দানশীল”। (আহমদ ৩/১৮, হাকেম ১/৪৯৩, জা-দুল মাসীর ১/১৯০)

কোন পাপ কাজের জন্য বা জ্ঞাতিবন্ধন ছিন্ন করার দু’আ করলে তা কবুল হয় না। পাপের দু’আ যেমন – খারাপ কাজ করে ধরা না পড়ার দু’আ, জেনা করে ধরা না পড়ার দু’আ করা।

হারাম পানাহার ও পরিধান করা।

দু’আয় মনোযোগী না হওয়া এবং আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় ‘যদি’ কথা যোগ করা।

তিন ধরনের মানুদের দু’আ আল্লাহ্‌ কবুল করেন না। রাসূল (সঃ) বলেন, “তিন ব্যক্তি দু’আ করে অথচ তাদের দু’আ মঞ্জুর করা হয় না; (১) যে ব্যক্তির বিবাহ-বন্ধনে কোন দুশ্চরিত্রা স্ত্রী থাকে অথচ তাকে তালাক দেয় না, (২) এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট মালের অধিকারী থাকে অথচ তার উপর সাক্ষী রাখে না, (৩) যে ব্যক্তি নির্বোধকে তার সম্পদ দান করে অথচ আল্লাহ্‌ পাক বলেন, “আর তোমাদের সম্পদ নির্বোধদের হাতে অর্পণ করো না”। (কুঃ ৪/৫, হাকেম ২/৩০২)
ঔদাস্য, খারাপ মনোবৃত্তি, খেয়াল-খুশীর বশবর্তী থাকা এবং মিনতি, ভক্তি, আশা ও ভয় ভীতির অভাব থাকা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.