182581

মুসলিম ও ইসলাম সম্পর্কে ভালো বক্তা ট্রাম্প!

নূসরাত জাহান: প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম বিদেশ সফর করলেন সৌদি আরবে। স্বভাবতই এটি তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সফর। কারণ নানা ইস্যুতে নিজের দেশের মধ্যেই চাপের রয়েছেন ট্রাম্প, নানা ধরনে নির্বাহী আদেশ, রাশিয়াকে তথ্য দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বষিয়ে চাপে আছেন তিনি। এরই মধ্যে তার এ সফর। সফরকালে তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে যেভঅবে কথা বরেছেন তাতে মনে হয়েছে এ বিষয়ে তার থেকৈ ভালেঅ বক্তা আর কেউ নেই।

সৌদি সফরকালে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির ওপর ভরসা না করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উচিত তাদের নিজ নিজ ক্ষমতা বাড়ানো। যাতে করে তারা সন্ত্রাস আর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিদেশি বাহিনীর ওপর ভরসা না করে নিজেরাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

ট্রাম্প তার ভাষণে বলেছেন, ইসলামি উগ্রপন্থার প্রসার মোকাবিলা করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকেই অবশ্যই নেতৃত্ব দিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে এজন্য বসে থাকলে চলবে না। এই আশায় বসে থাকা যাবে না কখন যুক্তরাষ্ট্রে এসে তাদের সহায়তা করবে। কখন তাদের উদ্ধার করবে। এজন্য তাদের নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

সৌদি সফরেও ইরানকে ছাড়েননি ট্রাম্প। জাতিগত দ্বন্দ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য দিনি তেহরানকে দায়ী করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ভাষণে ইসলামী বিশ্বের প্রতি ঠিক কী বার্তা দিতে চেয়েছেন সেটাও ঠিক স্পষ্ট নয়। জঙ্গিবাদ দমন নাকি ইরান দমন।

ট্রাম্প ইরানের সমালোচনা করে বলেন, তারা পুরো এলাকা জুড়ে গোষ্ঠীগত বিভেদ, সংঘাত এবং সন্ত্রাস উস্কে দিচ্ছে। সিরিয়ার আসাদ সরকারের অবর্ণনীয় অপরাধকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি অভিযৈাগ করেছেন। যদিও এ বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। ইরানের সমালোচনার পাশাপাশি প্রশংসাও করেছেন। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচেন নারীদের ব্যাপক অংশ গ্রহণকে তিনি সাধূবাদ জানিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কোনো সন্ত্রাসী যখনই একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে এবং সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়, তখন ধর্মবিশ্বাসী সব লোককে অবমাননা করা হয়। ধর্ম কখনও কাউকে হত্যা করার বৈধতা দেয় না। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ না কররে সবাই সমস্যায় পড়বে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এটার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার এখনই সময়।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে যেসব কথা বলেছিলেন তা নিযে মুসলিম বিশ্বে ব্য্পক ক্ষোভ ও ভয়ের জন্ম দিয়েছিল।

এছাড়া ক্ষমতায় আসার পরই তিনি ৬টি মুসলিমপ্রধান দেশের লোকদের যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িকভাবে যাওয়অর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। যদিও এ তালিকায় সৌদি আরব, মিসর বা অন্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ছিল না। সূত্র: গার্ডিয়ান।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.