182191

আনুগত্য প্রমাণ করতে তিব্বতে ‘লাই ডিটেক্টর’ পরীক্ষা!

নূসরাত জাহান: স্বাধীনতার দাবিতে বহু বছর ধরেই তিব্বতে আন্দোলন চলছে। তাই তো পুরো বিশ্ব এমনকি দেশ থেকেও তিব্বতকে আলাদা করে রেখেছে বেইজিং। তিব্বতকে তারা ‘নিষিদ্ধ’ বলেই ঘোষণা করেছে। নানা ধরনের কঠোর অনুশাসনের মধ্যে রাখঅ হয়েছে তিব্বতীয়দের। তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য লড়ে যাওয়া দালাইলামারা ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। তারপরও ঠিক বশে আনতে পারেনি তিব্বতীয়দের। তাইতো এবার তাদের বশে আনার নতুন পন্থা বের করেছেন চীন সরকার। সিচুয়ান প্রদেশের মধ্যে থাকা তিব্বতের এলাকার বাসিন্দাদের ‘লাই ডিটেক্টর’ বা মিথ্যা বলার পরীক্ষা করবে স্থানীয় সরকার। কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিপিসি) এর ওপর তিব্বতীয়রা কতটা অনুগত তা জানতেই এ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর তিব্বত (আইসিটি) জানিয়েছে, সিপিসির প্রতি তিব্বতীয়দের আনুগত্য পরীক্ষা করতে ১৬৮ জন কর্মকর্তার একটি টিম সেখানে পাঠানো হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, কমিউনিস্ট পার্টির স্থানীয় নেতাদের নির্দেশে কারদেজ এলাকায় মিথ্যা যাচাইয়ের পরীক্ষা করার জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। মানুষের মনে দলের মনসতাত্ত্বিক বিষয় প্রতিষ্ঠার জন্যই এ মেশিন বসানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রতি যে কোনো মূল্যে রাজনৈতিক আনুগত্য প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই এ কাজ চলছে। এটাই সিপিইসির নীতি। যদিও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এটা বলেনি যে কাদের জন্য এ যন্ত্র বসানো হচ্ছে।
চীনের গানজি ডেইলি গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কামিউনিস্ট পার্টির ক্যাডাররা লোকজনের দেওয়া প্রশ্নের উত্তর এবং মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেই জানতে পারবেন ওই এলাকার লোকজন তাদের প্রতি কতটা অনুগত। একইসঙ্গে এটাও তারা দেখবেন আরো কি কি করলে এ কাজের ফলাফল ঠিক মতো পাওয়া যাবে।’

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দলের প্রতি মানুষের মনোভাব যাচাই করতে এই প্রথম মনসতাত্ত্বিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমেই নানা কথা বলে এ পরীক্ষা চালানো হবে। মনের ভাব জানতে এই প্রথম চীনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
আইসিটি জানিয়েছে, কমিউনিস্ট পার্টির এ উদ্যোগ এরই মধ্যে ওই এলাকার লোকজনের মনে আতঙ্ক ও ভয়ের জন্ম দিয়েছে। কারণ তার এমনিতেই প্রশাসনকে বিশ্বাস করে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতের লোকজন স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অনেক গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। মূলত তাদের মানসিকভাব দুর্বল করে দিতেই চীন সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। সূথ্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.