182074

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিষেধাজ্ঞার রকমফের

জামাল হোসেন: সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের একটি বিরাট বড় শ্রম বাজার। বাংলাদেশের বহুলোক দীর্ঘ দিন ধরে এই দেশে কাজ করছেন। পরিবার সহ বসবাস করছেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কখন কখন ভিসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং কতো দিনের জন্য। আজকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে তুলে ধরা হবে।

(১) স্থায়ী বসবাসের উপর নিষেধাজ্ঞা: এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা পালাতক বা অবৈধ বলে বিবেচিত এবং গুরুতর শ্রম অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তির জন্য প্রয়োগ করা হয়। ফেডারেল বিভাগ এই সকল ব্যক্তির সমস্ত রেকর্ড জমা রাখেন।

(২) শ্রমিক নিষেধাজ্ঞা: শ্রমিক নিষেধাজ্ঞা কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে যেমন-

কোম্পানির সাথে শ্রমিকদের চুক্তি শেষ হয়ে গেলে, যদি কোম্পানির সাথে শ্রমিকের সম্পর্ক ভালো না থাকে তবে এই কোম্পানি ভিসা বাতিলের সাথে সাথে নিষেধাজ্ঞা ও জারি করতে পারে।

যদি কোন শ্রমিকের চুক্তির মেয়াদ অনিদ্রিষ্ট থাকে এবং সে তার চাকরির ১ বছর পুরা করার আগে ঐ চাকরি ছেড়ে দেয় বা কোম্পানি তাকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেয় তবে তার উপর নিষেধাজ্ঞা হবে।

যদি কোন শ্রমিকের চুক্তির মেয়াদ নিদ্রিষ্ট থাকে এবং সে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চাকরি ছেড়ে দেয় তবে তার উপর নিষেধাজ্ঞা হবে।
(৩) ইমিগ্রাশন নিষেধাজ্ঞা: এই ধরনের নিষেধাজ্ঞায় শ্রমিককে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে দেয় না। এটার বিভিন্ন কারণ হতে পারে যেমন- ফৌজদারি অপরাধ, চেক বাতিল, ধর্ষণ, চুরি, মদ্যপান ও অনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি। এবং যদি সরকারি কোন নিয়ম বা বিধি নিষেধ ভাঙ্গা হয় তখন এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা হয়।

(৪) চাকরির নিষেধাজ্ঞা: এই নিষেধাজ্ঞাকে আবার ওয়ার্ক পারমিট নিষেধাজ্ঞা ও বলে। এতে আপনি নিদ্রিস্ট সময়ের জন্য কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি পরবর্তীতে ৬ মাস বা স্থায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

(৫) ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা: যদি কোন নিদ্রিষ্ট কারণ ছাড়া চাকরি ছেড়ে দেয় তবে তার উপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা করা হয়।

(৬) ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা: সীমিত চুক্তি শেষ হওয়ার আগে যদি চাকরি ছেড়ে দেন তবে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।এই ক্ষেত্রে চাকুরিজিবির ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যদি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবেদন গ্রহন না করা হয় তবে এই নিষেধাজ্ঞা নিজে নিজে চালু হয়ে যাবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.