181820

রাজনীতিতে ছুটছে নেপালি তরুণীরা

সজল সরকার : নেপালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছিল সেই ২০ বছর আগে। নতুন সংবিধান অনুযায়ী আবারও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা হয়েছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা আইন তৈরীর খসরা রূপ দিতে পারবেন, কর আদায় করতে পারবেন এবং কিছু বিচারিক ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীদের জয়জয়কার। ১৪ মে প্রথম পর্বের নির্বাচনে প্রায় ২০ হাজার নারী প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। নেপালে এখন নারী ক্ষমতায়ন বেশ তুঙ্গে, বিশেষ করে তরুণীরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করতে এগিয়ে এসেছেন। ১৪ মে’র পরে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন হবে জুন মাসের ১৪ তারিখ।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতাকারী ২১ বছর বয়সী রঞ্জু দর্শনা নামের এক তরুনী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি প্রতিনিয়ত রাস্তায় রাজনৈতিক দলের টায়ার পোড়ানো ও হরতাল-ধর্মঘটের ঘটনা দেখতে দেখতে। এখনকার প্রজন্ম আর এ ধরণের রাজনীতি চায় না। নতুন প্রজন্ম পরিবর্তন দেখতে চায়। এজন্যই আমি মেয়র পদে নির্বাচন করছি।’ নেপালের যুব সম্প্রদায় এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের দেশের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করতে শিখেছে। তাদের পরামর্শ নিয়ে নতুন একটি সম্ভবনার স্বপ্ন দেখছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীকারী নারীরা।

নেপাল থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের মত যুবক-যুবতি দেশ ছাড়ছে একটি চাকরির আশায়। নারী প্রতিনিধিরা মনে করেন নিজের দেশে যুব সম্প্রদায়ের কাজ জাতিকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে পারত। নির্বাচনে এসব স্বল্প বয়সী নারী প্রতিনিধিরা জয়ী হলে তারা দেশের পরিবর্তন আনতে চান কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।

কবিতা দুঙ্গানা নামের ২৭ বছর বয়সী আরেক নারী নেত্রী বলেন, ‘ আমার পরিবারের সবাই মাওবাদী রাজনীতিতে জড়িত। আমার বাবা ২০০৫ সালে খুন হন এবং আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি মাওবাদী দলের ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত। এখন নির্বাচন করে শাসন ব্যবস্থার মধ্যে প্রবেশ করতে চাই।’

সূত্রঃ বিবিসি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.