181872

কিভাবে এলো লিচু নামটি

মোহাম্মদ সায়েম: লাই চি নামে এক বিজ্ঞানী ছিলেন চীনে। আঁশফল নিয়ে কাজ করতে করতে দুটি ফল সৃষ্টি করেন তিনি। একটি রাম্বুটান, অন্যটি লিচু। ফলের নাম লিচু ঐ বিজ্ঞানীর নামেই রাখা হয়। দুনিয়ায় ফল চাষের প্রথম বইটি ছাপা হয়েছিল ১০৫৬ সালে। সেটি লিচু নিয়ে। ফল হিসেবে লিচুর চাষ হচ্ছে দুই হাজার বছর ধরে। দক্ষীণ চীনের কাওয়াংতুং ও ফুকিং প্রদেশেই প্রথম লিচুর চাষ হয়। এরপর সেটা ছড়িয়ে পড়ে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল, বার্মা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, মরিশাস ও ভারতে। বাংলাদেশের রাজশাহী দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, রংপুর, যশোর, পাবনাসহ নারা দেশেই লিচু চাষ হয়। নানান জাতের লিচু পাওয়া যায় দেশে। নামগুলোও দারুণ-বোম্বেই, মাদ্রাজী, চায়না ৩, মঙ্গলবাড়ি, মোজাফ্ফরপুর, বেদনা, বারি। অোমরা তো টসটসে রসে ভরা লিচু মুথে পুরে আয়েশ করে থাই। চীনাদের কাছে কিন্তু শুকনো লিচু প্রিয়। লিচুর শাঁস শুকিয়ে আমনির মতো বানানো হয়। সেটাই ওরা ‘লিচি নাট’ বা লিচু বাদাম হিসেবে মজা করে খায়। লিচুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ সহ অনেক খাদ্য উপাদান। ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে, ভিটামিন সি দাঁতের জন্য আর এ ভিটামিন চোখের জন্য ভালো। কাজে হাতের কাছে পেলেই লিচু খাবেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.