179842

বেশি অ্যান্টিবায়োটিকেই বাড়ছে মাল্টিড্রাগ ভাইরাসের রোগী!

জান্নাতুল ফেরদৌসঃ এখনকার অনেক শিশুই মাল্টিড্রাগ (এমডিআর) ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। মায়োক্লিনিকের রিপোর্টে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া শিশুদের এমডিআর এন্টারোব্যাকটারিয়াসিস সংক্রমণ ৭০০ গুণ বেড়েছে। মায়ো ক্লিনিকের পেডিয়াট্রিক সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. নিপুন রাজাপাকসে বলেন, “আমরা আগের তুলনায় বেশি শিশুদের দেখছি যারা প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে”। তিনি আরো বলেন, “এটির বড় কারণ হল শিশুরা এন্টিবায়োটিক অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করছে”।

“আমরা জানি যে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ এন্টিবায়োটিক নির্ধারিত হয় যা সম্পূর্ণরূপে অপ্রয়োজনীয় বা অনুপযুক্ত। এখানে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো দোষ নেই। বাবা মারা যখন ওষুধের ডোজ সম্পূর্ণ করে না বা ডোজের মেয়াদ মানে না, তখন ভাইরাসটি শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে ওঠে।”।

এক্ষেত্রে মা, বাবা কী করতে পারেন? স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সন্তানদের সময়মত টীকা দানের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে মা-বাবা সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন। রাজাপাকশেরের মতে, “সবসময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল সংক্রামণ থেকে প্রাথমিক অবস্থায় সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখা”। বাচ্চারা সবসময় তাদের চোখ, নাক এবং মুখে তাদের আঙ্গুলগুলো ঢুকিয়ে দেয় এবং এতে তারা সহজেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই পরিবারের সবাইকে সবসময় খুব ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে, তাহলে সংক্রমণের হতে থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। দ্বিতীয় কাজ হল সন্তানের টিকা আপ-টু-ডেট রাখা। সময়মত টিকা দিয়ে রাখাতাই সবচেয়ে সেরা কাজ যার ফলে আমরা প্রতি বছর কিছু সংক্রমণ এবং ফ্লুর হাত থেকে রক্ষা পেতে সক্ষম হব। যদি আপনার সন্তানের কাশি, ঠাণ্ডা বা ফ্লু হয়, তবে করণীয়? ডাঃ রাজাপাকসে বলেন, “আপনার সন্তানের এখনও একটি ভাইরাল সংক্রমণ রয়েছে যা অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা নিরাময় করা যাবে না, কিন্তু একটি উপায় আছে যার দ্বারা আপনার সন্তান আরাম পাবে তা হল অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপোফেন – হিউমেডিফিয়ার এবং লজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে”।

তিনি আরো যোগ করেন, “এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে মা, বাবা তাদের সন্তানের অসুস্থতা সম্পর্কে ঘরোয়া ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা যে তারা কি মনে করেন অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে, এটি একটি ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়া যাই হোক না কেন অন্য কি পদ্ধতি তারা ব্যবহার করতে পারেন তাদের সন্তানের ভালো বোধ করার জন্য যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না”। –

মায়ো ক্লিনিক নিউজ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.