179660

অর্শ থেকে মুক্তি দেবে পাথরকুচি

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে পাথরকুচি পাতা এক মহার্ঘ্য ঔষধ হিসাবে গণ্য হয়ে আসছে।বিভিন্ন প্রকার রোগ নিরাময়ে এর জুড়ি মেলা ভার। বীজ বা গাছের চারা ছাড়াই গাছের পাতা পড়ে উৎপন্ন হয় এই পাথরকুচি গাছ। এমনকি কোন বিশেষরকম যত্নেরও প্রয়োজন হয় না।

আসুন জেনে নিই পাথরকুচি পাতার রোগ নিরাময় ক্ষমতা

কিডনির পাথর অপসারণে পাথরকুচি পাতা
পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।

অর্শ থেকে মুক্তি পেতে
পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্‌ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জন্ডিস নিরাময়ে
লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও রস অনেক উপকারী।

সর্দি সারাতে
অনেক দিন ধরে যারা সর্দির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অমৃতস্বরূপ। পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ক্ষত স্থান সারাতে
পাথরকুচি পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন।

এছাড়াও-
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।

শরীরের জ্বালা-পোড়া বা আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে।

পাথরকুচি পাতা বেটে কয়েক ফোঁটা রস কানের ভেতর দিলে কানের যন্ত্রণা কমে যায়।

কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার রসের সাথে ৩
গ্রাম জিরে এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
ত্বকের যত্নে
পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে।
যারা ত্বক সম্বন্ধে অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.