178038

ঐতিহ্য ফেরাতে চায় করাচি

সজল সরকার: পকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে আরব সাগরের উপকূলে ঐতিহ্যবাহী শহর ও সাবেক রাজধানী করাচি। তবে ইতোমধ্যে শহরটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর শহর হিসেবে পরিচিত হয়েছে। জঙ্গি হামলায় আক্রান্ত এ শহরটিতে বসবাসকারী অনেক তরুণই তাদের স্বপ্নের শহর হিসাবে করাচিকে দেখতে চান। ইতোমধ্যে এ শহরে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা ও সার্বক্ষনিক অবস্থানের জন্য অনেকটা নিরাপদ হয়েছে। ভয়ংকর এ শহরকে পর্যটকদের জন্য উপভোগ্য করে তুলতে রঙিন গাড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। গাড়ি চালিয়ে পর্যটকদের জায়গা ঘুরিয়ে দেখান জান্দ নামের এক বাসিন্দা। সারাদিন গাড়ি চালিয়ে যেখানে থাকেন তিনি তা একেবারেই উগ্রবাদীদের আস্তানা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে লিয়ারি অঞ্চলটি সহিংসতায় ভরপুর থাকে। তবে নতুন প্রজন্ম নতুন অনেক স্বপ্ন দেখে। লিয়ারিতে যেসব পরিবারগুলো বাস করে তারা সবাই দামি স্কুলে বাচ্চাদের পাঠাতে পারে না। কিরন নামের একটি স্কুল নিম্নবিত্ত শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে। এতেই খুশি লিয়ারির বাসিন্দারা। তাদের বাচ্চারা এখান থেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে আশা তাদের।

পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য জনপ্রিয় হলেও করাচি শহরে ফুটবল বেশ জনপ্রিয়। এখানকার যুব সম্প্রদায় ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবলই খেলে বেশি। করাচিতে নারী ফুটবল দলও গঠন করা হয়েছে যদিও কাজটি সহজ নয় কারণ তালেবানের হামলা কখন যে কোথায় হয় তা বলা মুসকিল। তবে কট্টরপন্থি দেশ হওয়া সত্বেও সাংস্তৃতিক চর্চাও বেশ ধুমধাম করেই চলা শুরু হয়েছে। শহরের মধ্যে আয়োজন করা ব্যান্ড শো’তে লোক আসে ভরপুর। ভয়কে জয় করেই তারা জীবনের আনন্দ আসে এখানে। সঙ্গীতজ্ঞ আলী গুল পীর বলেন, ‘সঙ্গীত শুধু আনন্দ দেওয়ার জন্য নয় বরং মানবতার বার্তা ও জনগণকে সচেতন করার জন্য অনেক কিছুই থাকে সঙ্গীতে।

সূত্রঃ বিবিসি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.