177887

গোয়েন্দাগিরিতে পাক-ভারতের দ্বৈত অবস্থান

সজল সরকার: পাকিস্তানে ধরা পড়া এক ভারতীয়কে গোয়েন্দা বলে বিচারে মৃত্যুদ্বন্দ দেওয়া নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে আবারও টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ খুলবুশান যাবদকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদ্বন্দ দিয়েছে সম্প্রতি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনেক দফা অনুরোধ করা সত্ত্বেও পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের কথা কানে না তুলেই এমন বিচার করায় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গোয়েন্দাগিরির পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ফলে দু’দেশেরই নিজস্ব সিন্ধান্তই শেষ পর্যন্ত স্থির থাকে। দু’দেশের গোয়েন্দাগিরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার ধরণ নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি রিপোর্ট করে যেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দার সঙ্গে ভারতের আচরণের কথা বলা হয়েছে।

সাজিদ মুনির নামের এক সন্দেহভাজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা ভারতে ধরা পড়ার পর ১২ বছর জেলে থেকে গত বছর ছাড়া পান। এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারকে জানালেও তারা সাজিদের পক্ষে কোন ধরণের সহায়তা করেননি। তাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া বা ভারতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করার বিষয়েও কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা। প্রায় ১ বছর ধরে ভূপাল পুলিশ কর্তৃপক্ষ সাজিদের খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে আসছে।

ভূপালের সেনাক্যাম্পে গোয়েন্দগিরির সময় ২০০৪ সালে ধরা পড়েন সাজিদ। ভাইয়ের খুনের প্রতিশোধ নিতে একজনকে খুন করেন সাজিদ। সে সময় পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এক কর্মকর্তার হয়ে কাজ করার চুক্তি হয় সাজিদের। ভারতের ভূপালে সেনা ক্যাম্পের খবর দেওয়ার চুক্তিতে সাজিদকে পালানোর ব্যবস্থা করে দেয় আইএসআই।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করছে ভারত যখন পাকিস্তানি গোয়েন্দাকে সহনশীল শাস্তি দিয়ে এখনও তার খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করছে সেখানে পাকিস্তান কোন ভারতীয়র সঙ্গে এমন আচরণ কেন করছে? ইতোমধ্যেই ভারতীয় পরারষ্ট্র মন্তব্য করেছে পাকিস্তানে আটককৃত ভারতীয় খুলবুশান যাবদকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পাকিস্তান দু’দেশের মধ্যে যেটুকু সম্পর্ক ছিল তা নষ্ট করেছে।

সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

পাঠকের মতামত

Comments are closed.