177475

সারা বিশ্বে বাড়লেও লাতিন আমেরিকায় মুসলিম কম

নূসরাত জাহান: পৃথিবীতে খুব দ্রুতই মুসলিম জনগোষ্ঠী বাড়ছে। এ সংখ্যা এতটাই দ্রুত বাড়ছে যে চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই মুসলমানদের এ সংখ্যায খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে। সারা বিশ্বে বাড়লেও লাতিন আমেরিকায় মুসলমানদের সংখ্যা সেভাবে বাড়ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণা থেকে এমনটাই তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার হবে, মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে তারচেয়ে কম। শুধু লাতিন আমেরিকায়তেই এই চিত্র দেখা যাবে।

এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় লাতিন আমেরিকায় ২০৫০ সাল নাগাদ জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে ২৭ শতাংশ। তবে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়বে মাত্র ১৩ শতাংশ। বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ৭৩ শতাংশ। যদিও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাধারণ হার হবে ৩৫ শতাংশ।

‘পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের ভবিষ্যত’ নিয়ে পিউ রিসার্চ গবেষণাটি করেছে। এতে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় ১৯ দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

গবেষণায় দেখা গেছে, লাতিন আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে এ সংখ্যা দাড়াবে ৯ লাখ ৪০ হাজার।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষক কনরাড হ্যাকেট বলেন, ‘মুসলিমদের সংখ্যা বিচারে লাতিন আমেরিকা একটি অনন্য অঞ্চল। কারণ সেখানে এখনই খুব কম সংখ্যায় মুসলমান বাস করে। ধারণা করছি, ২০১০ সাল নাগাদ ক্যারিবীয় দেশগুলো পুরো লাতিন আমেরিকায় ৮ লাখ ৪০ হাজার মুসলমান ছিল। সারা বিশ্বের ১৬০ কোটি মুসলমানের তুলনায় এ সংখ্যা খুব কম।’

হ্যাকেট বলেন, ‘উত্তর আমেরিকা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুসলমানদের সংখ্যা এখনও বড় কিছু নয়। আমরা দেখছি সেখানে অভিবাসীরা আসছেন সেসব দেশ থেকে যেখানে মুসলমানরা বড় সংখ্যায় বাস করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কিংবা অন্য অঞ্চল থেকে বড় সংখ্যায় মানুষ লাতিন আমেরিকায় আসছে এমনটা আমরা দেখছি না। তবে অন্য যে কারণে লাতিন আমেরিকায় মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে পারতো তাহলো ধর্ম পরিবর্তন।

বিশ্বজুড়ে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ার অন্যতম বড় একটি কারণ তাদের উঁচু জন্মহার। আফ্রিকার অনেক দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেসব দেশে এক নারী গড়ে ৪, ৫ কিংবা ছয়টি করে বাচ্চার জন্ম দেন। আফ্রিকায় উচ্চ জন্মহারের কারণে সেখানে খ্রিস্টানের সংখ্যাও বাড়ছে।

হ্যাকেট বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই যে এই অঞ্চলের মুসলমান নারীরা এর চেয়ে বেশি হারে বাচ্চার জন্ম দেন।’

সূত্র: ফক্স।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.