মিডিয়াকে আসামির পরিচয় গোপন রাখার আদেশ উড়িষ্যার আদালতের
সজল সরকার: ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে মামলা চলা এক বিষয়ে আসামীদের নাম, ঠিকানা প্রচার থেকে মিডিয়াকে বিরত থাকতে বলেছে হাইকোর্ট। যৌন হয়রানির এক মামলার আইনজীবি আসামি আদালতে মিডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে এ আদেশ দেয় আদালত। এ মামলায় বিচারপতি স্বতেন্তর কুমার, আসারাম বাপু ও রাজেন্দ্র পাচুরি অভিযুক্ত হয়ে লড়ে যাচ্ছেন। তিন আসামিই আত্মসম্মানের অজুহাত দেখিয়ে গোপন-শুনানির আবেদন করলে শুধুমাত্র বিচারপতি স্বতেন্তর কুমারের আবেদন গৃহীত হয়।
গত মাসে নারী ইন্সপেক্টরের সঙ্গে এক আইনজীবির বাজে ব্যবহারের ঘটনা তোড়পার সৃষ্টি করে। পুলিশও এ ব্যাপারে আইনজীবির বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধন করে। তবে অভিযুক্ত আইনজীবি আদালতের কাছে বলেছেন তিনি মিডিয়ার শিকার, মিডিয়া অতিরঞ্জিত করে তার খবর প্রচার করার জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনজন আইনজীবির ঘটনা নিয়ে মিডিয়ার খবর শুধু আইনজীবিদেরই নয় মহামান্য আদালতের সুনামও ক্ষুন্ন করেছে বলে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন তারা। আদালত সংবিধানে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে জানান ‘স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম যদি আইনজীবিদের বিষয়ে অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করে তখন সেটা আদালতেরই দ্বায়িত্ব তাদেরকে নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে বলা। আদালতে চলা কোন মামলার আসামীদের নাম দিয়ে এ ধরণের সংবাদ প্রচার করা যাবে না।’
আইনজীবিদের যৌন হয়রানির খবর প্রচার করলে কীভাবে আদালতেরও মান-সম্মান যায়- এমন মন্তব্যের জবাবও আদালত আগে থেকেই দিয়ে দিয়েছেন। আদালতের ভাষায়, যেহেতু আদালত চলে আইনজীবিদের দ্বারা এবং বিভিন্ন মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে তারাই এখানে মূখ্য কর্মকর্তার ভূমিকা পালন করেন, তাই তাদের মান-সম্মান হানি হলে তাদেরই একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে আদালতেরও মান-সম্মান হানি হয়। যেহেতু আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কারও কোন প্রশ্ন করার অধিকার নেই তাই সংবাদ মাধ্যমও একইভাবে সেসব খবর থেকে বিরত থেকেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রঃ দ্য হুট