175474

মার্কিন-পাক সম্পর্ক এখনও অনিশ্চিত !

সজল সরকার: ওবামা প্রশাসনের শেষ থেকে পাকিস্তান তাদের বিদেশ নীতি নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। ওবামা শাসনের পরে রিপাবলিক্যান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা আসার পর থেকে আবারও নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে যখন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে ফোনে দীর্ঘ আলাপ করে প্রশংসা করার পর পাকিস্তানী কুটনৈতিকরা আশার আলো দেখতে শুরু করেন। তবে এখন পর্যন্ত মার্কিন-পাক সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নিবে তা বুঝা যাচ্ছে না। জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনির খান ডন পত্রিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়ে একটি কলাম লেখেন যেখানে আশা-নিরাশার উভয় দিকই আলোচনায় এসেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত প্রথম অবস্থায় বেশ ভালই শুরু করেছেন। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসী দমনে পিছপা হবে না তা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়ে প্রথম অবস্থায় অবস্থা ভালই রেখেছেন রাষ্ট্রদূত। কিন্তু পাকিস্তানের প্রতি নতুন মার্কিন প্রশাসনের মনোভাব কী রকম হবে তা এখনও অনিশ্চিত রয়েছে। গত মাসে সিনেটে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন জেনারেল নিকোলসন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্ব দেন কিন্তু তারই পাশাপাশি পাকিস্তানের মদদে হক্কানী গ্রুপ ও তালেবানের কার্যক্রম পরিচালনার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানকে সে বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে আহ্বান জানান। আপাতত পেন্টাগন ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক ভাল মনে হলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি স্থির জায়গায় যায়নি এখনও। পাকিস্তানের আরেকটি বড় ভয় হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক। কাশ্মির সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিটি দায়ভার যাচ্ছে পাকিস্তানের ওপর। আফগানিস্তানে তালেবান গোষ্ঠী হামলা পরিচালনা করেই আবার পাকিস্তানে ফিরে আসছে সে ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই পাকিস্তানকে সাবধান দিয়ে আসছে। এ ধরণের সব সমস্যাকেই মাথায় রেখে পাকিস্তানকে মার্কিন সম্পর্কের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে কারণ পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পাকিস্তানের কাছে অনেক বড় বিষয়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.