175378

ছোট্ট লামিয়াই ইউএই-এর মুখ উজ্জ্বল করবে

নূসরাত জাহান: দাঙ্গালের কল্যাণে মানবীর সিং ফোগাতের কাহিনি সবাই জানে। দুই মেয়েকে রেসলিংয়ের জন্য উপযুক্ত করতে রক্ষণশীল বিশ্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। ভারতের হরিয়ানার ছোট্ট গ্রাম বালালি থেকেই তার লড়াইয়ের শুরু। মানবীর সিং লড়াই করেই গৃহিনী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর দুই মেয়ে গীতা আর বাবিতাকে রেসলিং মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছিলেন। শুধু পৌঁছানোই নয়, তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বর্ণ পদক পর্যন্ত জিতিয়েছেন। যাই হোক এ কাহিনি এখন অনেকেরই জানা। তবে জানা নেই সযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ছোট্ট লামিয়া তারিক মালাল্লাহর কথা। লামিয়ার মা মালাক তারিক আলফারসি রিদমিক জিমন্যাসটিকের সাবেক বিশ্ব ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। মালাকও তার মেয়েকে রদিমিক জিমন্যাসটিকের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। আশা তার মেয়েও একদিন বিশ্ব কাঁপাবে।

মালাকের স্বপ্নই ইউএইকে এক বিশ্ব দরবারে সম্মানিত করবে। তাইতো ছোট থেকেই লামিয়াকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করছেন তা বাবা মা। লামিয়ার বয়স এখন মাত্র ৫ বছর। এরই মধ্যে সে লক্ষ্যের দিকে অনেক খানিক এগিয়ে গেছে। গত ডিসেম্বরে দুবাইয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল জুনিয়র রিদমিক জিমন্যাসটিক’ এ লামিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তার সামনে আরো অনেক পথ পড়ে রয়েছে। মার্চের শেষেই রাশিয়ায় ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেবে সে।

এই বয়সেই লামিয়া পানিতে রিদমিক জিমন্যাসটিকে অংশ নিয়েছে। দুবাই ইয়োথ অলিম্পিক স্কুলে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ নেয় ছোট্ট লামিয়া। তার বাবাও খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। লামিয়ার বাবা তারিক আলী এক সময় ফুটবল খেলতেন। রক্ষণশীল সমাজে থাকার পরও মেয়েকে খেলার জগতে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

মা মালাকের মতে, ‘আরো অনেক মেয়ের এ পথে এগিয়ে আসা উচিত। লামিয়াকে জিমন্যাসটিকে সংযুক্ত না করতে অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। আলহামদুল্লিাহ, আমি ও আমার স্বামী আমার পথ থেকে সরিনি। আমরা মনে করি, এ খেলাতেই লামিয়ার ভবিষ্যত আছে। সেই একদিন দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ।’

মালাক এক সময় সিঙ্গাপুরে থাকতেন। তবে তার দেশের একটি নিজস্ব রিদমিক জিমন্যাসটিক টিম হবে এই আশায় দেশে ফিরে আসেন। বিশ্বখ্যাত রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাসটিক টিম কেসিনা গত বছর মে মাসে ইউএই-তে একটি প্রশিক্ষণ স্কুল চালু করেছে। প্রথম দিকে ৩০০টি মেয়ে তার স্কুলে এসেছিল। এর মধ্যে শেষ পর্যন্ত টিকেছে মাত্র ৩৫ জন। এর মধ্যে লামিয়া একটি।

লামিয়া সম্পর্কে কেসিনা বলেন, ‘আমার খুব বেছে বেছে মেয়ে নির্বাচন করেছি। যাতে করে প্রফেশনাল জিমন্যাসটিকে তাদের অংশ গ্রহণ করানো যায়। আমি তার আঙুল দেখেছি। আমি তার মুখের অভিব্যক্তি দেখিছি। মেয়েটি শরীর অনেক নমনীয়ও বঠে। এ খেলায় ভবিষ্যত আছে। ’
সূত্র: খালিজ টাইমস।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.