175261

ভারতকে চাপে রাখতে চীন-পাকিস্তান যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে!

নূসরাত জাহান: একদিক ভারত, অন্যদিক যুক্তরাষ্ট্র। একটি আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী, অন্যটি আন্তর্জাতিক। দুই দেশকেই চাপে রাখতে চায় চীন। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে চাপে রাখার মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে পাকিস্তান। সেই অস্ত্রকেই কাজে লাগিয়ে আবারও ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে তারা। এবার পাকিস্তানরে সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ঘোষণা দিয়েছে চীন। এ ঘোষণায় এরই মধ্যে ভারতের কপালে চিন্তার রেখা ফুটে ওঠেছে।

সম্প্রতি ভারত দূর পাল্লা অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এরপরই খেপেছে চীন। তাদের মতে, এ কাজ করে দিল্লি দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে। যার ফল ভালো হবে না। এ কাজ করে তারা অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে উসকে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে চীন। এরপর তারা পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোসণা দেয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্রচীনা পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসকে একথা জানিয়েছে।
চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধূত্ব অনেক দিনের। ভারত যত শক্তিশালী হয়েছে, চীন ততপাকিস্তানকে কাছে টেনেছে। জঙ্গিদের মদদ দেওয়ায় পাকিস্তানকে দূরে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর ভারত। তখনই চীনকে অবলম্বন হিসেবে আঁকড়ে ধরেছে পাকিস্তান।  এতে লাভ চীনের  চীনের ‘ওয়ান রোড, ওয়ান বেল্ট’ প্রকল্পের আওতায় ৪৬০০ কোটি ডলার দিয়ে চীনের কাশগড় থেকে পাকিস্তানে গোয়াদর পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডর বানারো প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত গোয়াদর বন্দরকে কাজে লাগিয়ে সরাসরি আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে চী। যার মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। এতে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে কিছুটা গতি আসবে। কিন্তু সার্বভৌমত্বের কারণ দেখিয়ে এ প্রকল্পে বিরোধিতা করছে ভারত।
এবার ভারতকে একহাত নিতে অর্থনৈতিক সম্পর্কে সীমা অতিক্রম করে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে তারা। চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফ্ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিসিদ্ধান্ত নিয়েছে। এফসি১-শাওলং নামের একটি হালকা ওজনের মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্টও বানাবে বলে বলে জানিয়েছে চীনা পত্রিকাটি।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, চীন-পাকিস্তানে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোরও তারা যৌথভাবে অভিযান চালাবে।  
অর্থনৈতিক করিডরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই চীন-পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ওই করিডোরে পাকিস্তান ১৫ সেনা সদস্য মোতায়েন করবে। পাকিস্তানের যেসব এলাকা দিয়ে এই করিডোর যাবে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা জঙ্গিপ্রবণ। নাশকতার হাত রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন বা পাকিস্তান যা-ই বলুক না কেন ভারতকে চাপে রাখতেই চীন এ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারত কি করে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া। এফএ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.