175332

জ্বর হলে শিশু সব খাবে।

গাজী খায়ারুল আলম: যে কোনও মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে মূল ভূমিকা নেয় মগজের হাইপোথ্যালামাস অংশটি। শিশুর জ্বরের বেলায় সবচাইতে বেশি দেখা যায় শ্বাসতন্ত্র বা রেচনতন্ত্রের সংক্রমণের ঘটনা। জ্বর হতে পারে টনসিলাইটিস, ফ্যারিনজাইটিস, ল্যারিনজাইটিস, নিমোনাইটিস থেকে শুরু করে সিস্টাইটি, পইলোনেফ্রইটি, হাম, মা্স হেপাটাইটিস, টাইফেড, প্যারাটাইফয়েড ম্যালেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ-এমন হাজার কারণে। জ্বরের কারণ যাই হোক, শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে হাইপোথ্যালামাসের স্বাভাবিক তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায়। জ্বর কোনও রোগ নয়, রোগের উপসর্গমাত্র। ওষুধ খেয়ে বা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার জোরে মূল কারণটা দূর হওয়ামাত্র হাইপোথ্যালামাসের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসে, জ্বরও কমে। প্যারাসিটামল গোত্রের জ্বর কমাবার ওষুধগুলো খাওয়ানো হয়, তার প্রভাবে শরীরের তাপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে চাঙ্গা হলেও কয়েক ঘন্টা বাদে তা আবার ভেঙে পড়ে। জ্বরের ওষুধ খাইয়ে জ্বর কমানো তাই সাময়িক ব্যবস্থা। আসল ব্যবস্থা হল ওষুধপত্র দিয়ে জ্বর যে কারণে আসছে সেই কারণটাকে দূর করা।

শিশুর জ্বর হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ানো জরুরী। না হলে শিশুর শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। পুষ্টির অভাবে কাহিল হয়ে যাবে।

১। শিশুদের জ্বরে বেশির ভাগ সময় পেটের সমস্যা তেমন থাকেনা। জ্বরের সঙ্গে পেটের গোলমাল না থাকলে শিশুকে দিন রোজকার খাবার, ভাত, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম সবই দিন।

২। টাইফয়েড জ্বরে অন্ত্রে এক ধরনের ঘা হয। এরকম জ্বরে তাই হালকা সহজপাচ্য খাবার শিশুকে খাওয়ানো দরকার।

৩। গোলমাল না থাকলে নোনতা খাবার, ভাজা খাবার বা স্বাদু খাবার, যেটা খেতে বায়না ধরছে শিশু, একটু-আধটু দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

৪। কড়া আলুভাজা, চিপস বা অন্য ভাজাভুজি সামান্য চলতেই পারে, অবশ্য শিশুর পেট বুঝে।

৫। গোলমরিচের গুঁড়ো, মাখন বা অন্য নানা বস্তুর ব্যবহারে বাচ্চা খাবার খেযে নেয় বায়না না করে, পুষ্টিও বজায় থাকে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.