174839

চীনের প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ!

নূসরাত জাহান: ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই চীনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ফোন করা নিয়ে বেইজিং-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপেড়েনের সৃষ্টি হয়। সেখানে থেকেই শুরু। এরপর সম্পর্কের সেই তিক্ততা দিন দিন বাড়তে থাকে। চীনকে চাপে ফেলতে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে রণতরী পর্যন্ত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে এমন সম্পর্ক তো চলতে পারে না। তাই উভয়পক্ষই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথ উদ্যোগে ফ্লোরিডায় দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে আযোজন করতে যাচ্ছে। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মুখ খোলেনি।

গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগামী ৬ ও ৭ এপিল এ সম্মেলনে হতে পারে। সিএনএনও এ খবর জানিয়েছে। তবে এ খবর কতটুকু সত্য তা যাচাই করা যায়নি।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেই আউট সোর্সিং বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। পরে সুর কিছুটা পরিবর্তন করলেও ‘এক চিন’ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও কম কথা বলেননি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো অ্যাস্টেটে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করছে প্রেসিডেন্টের দফতর।

গত মাসে এই মার-আ-লাগো অ্যাস্টেটেই জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার হয়তো তাকে সমর্থন দিতে চলেছে বেজিংই। হোয়াইট হাউস যদিও এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। পররাষ্ট্র সচিব রেক্স টিলারসন এই সপ্তাহেই বেজিং সফরে যাবেন। এপ্রিলের সম্মেলনে চিনফিং আসবেন কি না, চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে টিলারসনই তা নিশ্চিত করবেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম মেনে না চলে তা হলে ‘বাণিজ্য-যুদ্ধের’ হুমকি দিয়েছে চীন। তাদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক নিয়ম ভেঙে চীনের পণ্যের ওপরে একতরফা শুল্ক বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকে কী আলোচনা হবে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ইস্যুতে উঠবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে দুই দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়াকেই সব চেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পিয়ংইয়ংকে চাপে রাখতে ওই বৈঠকে বেইজিংয়ের সাহায্য চাইতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এমন ইঙ্গিত ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন। দুই দেশের প্রধানের বৈঠক হতে পারে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও। এখন দেখার বিষয় আসলে দ্বিপক্ষীয় এই আলোচনা থেকে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বরফ কতটা গলে। সূত্র: ডেইলি মেইল।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.