174174

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল সব সময় সহজ ছিল না

নূসরাত জাহান: ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে পা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আট বছরের শাসনামলের ইতি টানলেন বারাক ওবামা। নিয়ম অনুযায়ী চার বছর পরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ক্ষমতায় আসেন নতুন প্রেসিডেন্ট। তবে সব সময়ই যে নতুন কেউ ক্ষমতায় আসেন এমন নয়। দ্বিতীয় মেয়াদেও আগের প্রেসিডেন্ট থেকে যান । সেটা যাই হোক না কেন ক্ষমতার পালাবদলের মাঝের সময়টায় কি ঘটে কিংবা কিভাবে এটা হয় সেটা হয়তো অনেকেই জানে না।
হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার পালাবদলের সেই কথা জানালেন টেড কফম্যান। ক্ষমতার পালাবদলের এমনই এক সাক্ষী টেড কফম্যান। ২০০৮ সালে বারাক ওবামা জয়ী হলেন তখন টেড কফম্যান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান রাজনৈতিক উপদেষ্টা।
টেড বলেন, ‘হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং এমনই এক জায়গা যেখানে প্রবেশ করলে আপনার গায়ে কাঁটা দেবে। এখানে কাজ করার অনুভূতি অন্যরকম। যুক্তরাষ্ট্রের গতিপথ নির্ধারণের কাজ আপনি করছেন। নতুন প্রশাসনের শুরুর দিকে কাজ করার অভিজ্ঞতো বেশ আনন্দের । ২০০৮ সালে তেমনই এক পরিবর্তনের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম। জয়ের পরপরই কাজ শুরু হয়ে যায় কে হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন, অ্যাটর্নি জেনারেল। ওবামার আমলে আমি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এটা ছিল আমার জীবনের একটা সেরা সময়।’
মার্কিন গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার মধ্যে ৭০ দিনের মধ্যে সরকার গুছিয়ে নেওয়ার সময় পান। এই পরিবর্তনটা শুধু প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।
কিছু কিছু সময় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর খুব ভালোভাবেই হয়েছে। এর একটি উদাহরণ ছিল জর্জ বুশের পর বারাক ওবামার দায়িত্ব গ্রহণের সময়। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও এটা হয়েছিল খুবই সহযোগিতামূলক পরিবেশে। তবে বিল ক্লিনটনের বিদায়ের পর জর্জ বুশ ক্ষমতা গ্রহণের সময় উল্টো হয়েছিল।
টেড বলেন, ‘স্পষ্টভাবে মনে আছে, প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় ক্ষমতার হস্তান্ক প্রক্রিয়া মোটেও সুষ্ঠু ছিল না। ’
২০০০ সালের নির্বাচনে জর্জ বুশ হোয়াইট হাউসে এসে দেখলেন তাদের জন্য নানা ফাঁদ পাতা রয়েছে। জিনিসপত্র ভাঙা রয়েছে, লোকজনকে ঠাট্টা-বিদ্রুপের নানা আয়োজন রয়েছে। আর এ কাজগুলো করেছে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্টাফরা।
এ প্রসঙ্গে টেড বলেন, ‘বেশ কিছু কম্পিউটারের কিবোর্ড থেকে ডব্লিউ অক্ষরটা খুলে নেওয়া হয়েছে। বা সেটা উল্টো করে রেখে দেওয়া হয়েছে। টেলিফোন এক্সটেনশন কাজ করছিল না।’
তবে ট্রাম্পের সশয় এমনটা হয়নি। ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে বৈঠক করা হয়। তবে এটা বোঝা যাচ্ছিল যে প্রশাসনের দিক দিয়ে সমস্যা না হলেও ট্রাম্পের টিম এমনিতেই অসুবিধায় পড়বে। কারণ, তাদের প্রচারাভিযানের দলে এমন লোক বেশি ছিল না যাদের ফেডারেল সরকারের কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। আর হয়েছেও তাই।
সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.