173860

মেয়েদের সুস্থ্য থাকার কিছু খাবার

খেয়াল করলে দেখবেন মেয়েরাই নিজেদের অবহেলা সবথেকে বেশি করেন। মায়েরা যেমন সংসারের খেয়াল রাখতে গিয়ে ঠিক মতো পুষ্টিকর খাবার খানই না, আর বাকিরা নানা দায়িত্বে এতটাই আবদ্ধ হয়ে থাকেন যে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল করার সময়ই পান না। এটা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। যেমনটা আপনাদের সবারই জানা যে মেয়েদের শরীর ঠিক রাখতে বিশেষ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পরে, যা কেবল ব্যালেন্স ডায়েট মেনে খাবার খেলেই শীরের প্রবেশ করে। আর এই উপাদানগুলির যদি ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ এমনটা হলে ধিরে ধিরে ভাঙতে শুরু করে শরীর। দেখা দেয় নানা জটিল রোগ। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা প্রতিদিন খাওয়া মেয়েদের একান্ত প্রয়োজন।

কী সেইসব নিয়ম। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

১. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে:
পিরিয়োডের সময় মাত্রতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো মেয়েদের আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- সবুজ শাক-সবজি, ফল, হোল গ্রেন খাবার প্রভৃতি খেতে হবে বেশি করে। কারণ রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া কিন্তু শরীরের জন্য় একেবারেই ভাল নয়।

২. ফলিক অ্যাসিড:
মেয়েদের শরীর ঠিক রাখতে ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন- বি ৯ এর প্রয়োজনিয়তা অনেক। বিশেষত মা হওয়ার আগে তো বেশি করে এমন খাবার খাওয়া উচিত, যাতে ফলিক অ্যাসিড প্রচুর মাত্রায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, ফলিক অ্যাসিড, নবজাতকের নিউরোলজিকাল ডেফিসিয়েন্সি হওয়ার আশঙ্কা কমায়। সেই সঙ্গে বাচ্চার হার্টের স্বাস্থ্য ভাল করে। কী কী খাবারে রয়েছে এই উপাদানটি। বিশেষত ফল, নাটস, সবুজ শাক-সবজি এবং সিরিয়াল সমৃদ্ধ খাবারে ফলিক অ্যাসিড প্রচুর মাত্রায় থাকে।

৩. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে গিয়ে দেখা দেয় নানা রকমের অর্থোপেডিক প্রবেলম। শুধু তাই নয়, ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমিন গর্ভবতী হওয়ার সময় নানা রকমের জটিল সমস্যা হওয়ার সম্ভবনাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো প্রতিদিনের ডায়াটে দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, ব্রকলি এবং আমন্ডের মতো ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখাটা জরুরি।

৪. ভিটামিন- বি:
শরীরে এই উপাদানটির ঘাটতে দেখা দিলে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই রোজের ডায়াটে ভিটামান- বি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- বাদাম, সিরিয়াল, শাক-সবজি এবং মাছ রাখতেই হবে।

৫. জিঙ্ক রয়েছে এমন খাবার:
এটি আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান, যা মেয়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, ভাল কোষের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ফলে রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তিসি গাছের বীজ, কুমড়ো বীজ এবং শিমের বীজে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক রয়েছে।

৬. আয়োডিন:
শরীরে আয়োডিনের মাত্রা কমে গেলে ওজন বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই তো প্রতিদিন নিয়ম করে শুঁটি জাতীয় সবজি, ক্রেনবেরি অথবা স্ট্রবেরি খেতে হবে।

৭. ভিটামিন-ডি:
হাড়কে মজবুত করতে ভিটামিন-ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর বেশিরভাগ মেয়ের শরীরেই একটা বয়সের পর ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়। তাই তো আজ থেকেই ডিম, মাশরুম এবং চিজের মতো ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করুন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.