173464

সত্যিকারের মানুষখেকো গ্রেপ্তার ভারতে

শায়েখ হাসান: সত্যিকারের মানুষখেকো মানুষের সন্ধান মিলেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমারিয়া নামক স্থানে। যুবকের নাম নাজিম মিয়া।
বিশ বছর বয়সী এক যুবক মৃত এক শিশুর মাংস খাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে নিজেরই মায়ের কাছে। পরে তাকে জেলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ মানুষখেকো ওই যুবকের কোনো বক্তব্য বা জবানবন্দি পেয়েছে কী না জানা যায়নি।

ঘরে অনেকক্ষণ না দেখে ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন মা। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করেও না পেয়ে খেলার মাঠে যান তিনি। সেখানে থেকে আগ্রহ করেই মাঠের পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে খুঁজতে গিয়ে প্রায় জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয় মহিলার। দেখেন, ছেলে ৭ বছরের একটি শিশুর দেহ টুকরো-টুকরো করে কেটে তার মাংস খাচ্ছে।
 
দেরি না করে তখনই স্থানীয় লোকজনদের ডাকেন তিনি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশে দেওয়া হয় নাজিমকে। স্থানীয়রা একজোট হয়ে নাজিমকে মারতে উদ্যত হয়। এর মধ্যেই পুলিশ পৌঁছে গ্রেপ্তার করে তাকে। এই খবর নিমিষেই ছড়িয়ে পড়েছে সবদিকে। এরই মধ্যে থানাবন্দি নাজিমকে দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছেন উৎসুক জনতা।  তবে গ্রেপ্তারির পরেও থানার বাইরে জমায়েত হয়ে স্থানীয়রা নাজিমকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপর থেকে নাজিম থানায় বন্দি।

গত বুধবার ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের আমারিয়া-য়। পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ মোনিস নামের ওই শিশুটি অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে মাঠে খেলছিল। চকোলেট দেওয়ার নাম করে তাকে নাজিম ডেকে নিয়ে যায়। মাঠের পাশের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে প্রথমে খুন করে। তার পর দেহ টুকরো-টুকরো করে কেটে ফেলে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাজিম মাদকাসক্ত। তবে তার এই রূপ এর আগে অজানাই ছিল।
বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে জেরার মুখে এখনও পর্যন্ত একটিও কথা নাজিমের মুখ থেকে বার করা যায়নি। সে বরাবর চুপ করেই থেকেছে।
 

 

সূত্র: ডেইলি মেইল।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.