১০ টি প্রাকৃতিক মাউথফ্রেশনার, যা চট করে দূর করে মুখের দূর্গন্ধ
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ মানুষকে কিছু হলেও অস্বস্তিতে ফেলে। বিশেষ করে পেঁয়াজ-রসুন দেওয়া খাবার খাওয়ার পর তো অনেকে কথাই বলতে লজ্জা বোধ করেন। এর সমাধানও আছে, ব্যাগে রেখে দিন দারচিনি, এলাচ অথবা লবঙ্গ। এগুলি খাওয়ার পর একটু মুখে ফেলে চিবিয়ে নিলেই দুর্গন্ধ উধাও। তাছাড়া খাওয়ার পর পুদিনা বা ধনেপাতা চিবিয়ে খেলেও মাউথফ্রেশনারের কাজ হবে। তেমনই ১০ টি প্রাকৃতিক মাউথফ্রেসনারের সন্ধান দিচ্ছি আপনাদের-
এলাচ
বহু প্রাচীনকাল থেকে এলাচ মাউথফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সঙ্গে ছোট একটি কৌটায় কিছু এলাচ রাখুন। খাওয়ার পর অথবা দিনের যেকোনো সময়ে মুখে পুরে চিবান। এতে তরতাজা বোধ করবেন।
পুদিনা পাতা
ভারি খাবার খাওয়ার পর মাউথফ্রেশনার হিসেবে তিন-চারটি পুদিনা পাতা চিবান। এতে দুর্গন্ধ উবে যাবে, দাঁতের ক্ষয়রোধ হবে ও খাবার হজমও হবে ভালো।
লবঙ্গ
মুহূর্তের মধ্যে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সবসময় ব্যাগে রাখুন লবঙ্গ। কারণ লবঙ্গ ব্যাকটেরিয়া ও দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করে। তাই দিনে বেশ কয়েকবার মুখে দু-তিনটা লবঙ্গ পুরে কিছুক্ষণ চিবিয়ে ফেলে দিন।
ধনেপাতা
নিঃশ্বাসে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা ধনেপাতা বেশ কার্যকরী। এর ক্লোরোফিল মুখের দুর্গন্ধ শুষে নেয়। তাই খাওয়ার পর কিছু পরিমাণ ধনেপাতা চিবানোর অভ্যাস করুন।
নুন জল
প্রাকৃতিক মাউথফ্রেশনার হিসেবে লবণ পানি সবচেয়ে সহজলভ্য। বেসিনে একটি কৌটায় নুন রেখে দিন। প্রতিবার ব্রাশ করার পর বা প্রয়োজনবোধে আধগ্লাস জলে এক চা চামচ লবণ ভালোভাবে নেড়ে কুলকুচি করে নিন। এতে দাঁতও হয়ে উঠবে অনেক বেশি পরিষ্কার।
ভিনেগার
পেঁয়াজ ও রসুন বেশি রয়েছে, এমন খাবার খাওয়ার পর কথা বলতেই হয় অস্বস্তি। কারণ তো বুঝতেই পারছেন। সেক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে ভিনেগার। এক গ্লাস জলে একটু ভিনিগার মিশিয়ে কুলকুচা করে নিলেই ফের সতেজতা ফিরে পাবেন।
দারচিনি
দারচিনিতে রয়েছে এক ধরনের তেল, যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া নাশ করে। তাছাড়া এর তীব্র ঝাঁঝালো মিষ্টি গন্ধ থাকে দীর্ঘসময় অবধি।
সরিষা বাটা
সরিষা বেটে ঢাকনাওয়ালা পাত্রে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। মসলাদার খাবার খাওয়ার পর আধা চা চামচ সরিষা বাটা মুখে দিয়ে বেশ সময় নিয়ে খান।
লেবু
লেবুর ক্ষারীয় উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হতে দেয় না। একই সঙ্গে এটি দাঁত, জিভ ও ঠোঁট সবই রাখে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত।
পেয়ারা পাতা
পেয়ারার কচি পাতা ধুয়ে খানিকক্ষণ চিবিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়। পেয়ারা পাতা জলে সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করেও ব্যবহার করতে পারেন প্রয়োজনমতো।