173176

ট্রাম্পের নতুন প্ল্যান!

নূসরাত জাহান: ক্ষমতায় আসার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাতটি মুসলিম দেশে নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে তার আদেশে বাধ সাধেন আদালত। আদালতের নির্দেশে তার আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। তিনি আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প। এজন্যই নতুন উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প।
ট্রাম্প ভিনদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা তা থেকে পিছিয়ে আসার আপাতত কোনো ইচ্ছা নেই। তবে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অন্য পথ নিতে চলেছেন ট্রাম্প। সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের এবং শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করার তোড়জোড় শুরু করেছেন তিনি। তার ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে হলে আদালতের আপত্তিগুলোকে এড়িয়ে যেতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা নিষেধাজ্ঞার যে অংশগুলোসংবিধান বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন আদালত সে অংশগুলোকে সংশোধন করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। সম্প্রতি আদালতের রায়ের তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প নিজেই এই নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে জঙ্গিদের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা যাবে না। সেজনিই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সংশোধিত নিষেধাজ্ঞায় কী কী পরিবর্তন করা হবে তা এখনও খোলসা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই নতুন সংশোধিত নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হবে।
২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের এবং শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদেশ জারির কয়েকদিন পরেই কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। শেষ পর্যন্ত আদালত ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা বাতিলই করে দেয়। ট্রাম্পের নির্দেশকে সংবিধান বিরোধী আখ্যা দেয় আদালত। কারণ জঙ্গিবাদ রুখতে এ উদ্যোগ নেওয়ার যে যুক্তি ট্রাম্প দিয়েছে সেই সব দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ আদৌ রয়েছে কিনা তা জানতে চায় আদালত। ট্রাম্প প্রশাসন উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি। ফলে ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞাকে আদালত আর বৈধতা দেয়নি। এবার আদালতের আপত্তির কারণগুলিকে এড়িয়ে গিয়ে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির পথে এগোচ্ছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসন থেকে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিক মহলের একাংশের মতে, মার্কিন এই প্রেসিডেন্টকে ঘিরে বিতর্ক কিছু কম নয়। তার উপর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার এই নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়। তার উপর আইনও তার বিরুদ্ধে গেছে। পরিস্থিতি ঠিক করতে করতেই ট্রাম্প নতুন পথে হাঁটার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সূত্র: অলটারনেট।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.