172709

স্যাড, সিরিয়াসলি স্যাড! লুসিফার লায়লা হ্যাজ লস্ট ইট কমপ্লিটলি

সাবিনা আহমেদ  :  ওম্যান চ্যাপ্টারের রমণীরা কিছুদিন পর পর উদ্ভট যুক্তি দিয়ে হিজাবের বিরুদ্ধে লেখালেখি দেখে মনে হচ্ছে তারা আসলেই ডেস্পারেট। যেখানে ওম্যান্স চ্যাপ্টারের কাজ হবে সব নারীর জন্য মুখ খোলা, সেখানে এরা ক্রমাগত হিজাবি নারীদের বিরুদ্ধে লিখে চলেছে। লিসেন, ডোন্ট কল ইওরসেল্ভস ওম্যান্স চ্যাপ্টার, নেইম ইট সাম্থিং এলস। কারন, ডেফিনিটলি ইউ ডোন্ট রিপ্রেসেন্ট এ ভ্যাস্ট মেজোরিটি অফ ওম্যান্স ইন বাংলাদেশ।

আপনাদের কপালের টিপ, খোলা পিঠের ছোট পেট আর পিঠ দেখানো ব্লাঊজ নিয়ে কিন্তু হিজাবীরা তেমন কিছুই বলছে না। কিন্তু আপনারা থামতেই পারছেন না। এজ ইফ, এই হিজাবীরা সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে। অথচ তারা আছে তাদের নিয়ে। আর রাষ্ট্র থেকে শুরু করে আপনারা আছেন হিজাবিদের বিরুদ্ধে।
একবারও কি কারন উন্মাচনের চেষ্টা করেছেন কেন আজকাল মেয়েরা হিজাবে ঝুকেছে? কেন আমাদের মা নানিরা ঘোমটা দিয়েই পার পেয়ে গেছে কিন্তু এতো সংখ্যক মেয়েরা হিজাব ধরেছে? একবারও কি ইতিহাস ঘেটে দেখেছেন কখন থেকে মেয়েরা হিজাবের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছে?
লেট টু গিভ সাম টেকনিক্যাল রিজন্সঃ
১) হিজাব মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে। আমাদের মা নানিরা ঘরে থেকেই বেশির ভাগ জীবন পার করে দিয়েছেন, কিন্তু অর্থনৈতিক কারনে এখনকার মেয়েদের কাজের জন্য বের হতে হচ্ছে। যখন থেকে একটি মুসলিম সমাজে মেয়েরা কাজ করতে বের হয়েছে তখন থেকে তারা হিজাবের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছে। হিজাবের দরুন পরিবারও তাদের কাজ করতে, কলেজ ইউনিভার্সিটিতে যেতে অনুমতি দিচ্ছে, ভরসা পাচ্ছে, সাহস পাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে হিজাব মুসলমান মেয়েদের পশ্চাত্যের যে কোন কর্মজীবী মেয়েদের মতন কাজ করার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
২) মাথায় ওড়না, শাড়ির আচল মাথায় দিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করা যায় না। ব্যাপারটা অত্যন্ত আনপ্রোফেশোনাল। কাজের ফাকে ফাকে আপনি ওড়না আর আচল সামলাচ্ছেন, তাতে আপনার কাজে মনোযোগ ক্ষিন্ন হচ্ছে। বারবার ওড়না মাথায় উঠাতে গিয়ে হাত ব্যস্ত থাকছে। সেই ক্ষেত্রে হিজাব বা স্কার্ফ একবার মাথায় বেধে নিলে আর সে নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কাজের জায়গায় কাজ, হিজাবের জায়গায় হিজাব। তাতে কাজে মনোযোগ বাড়ে। ওয়ান বিকাম এ মোর এফিশিয়েন্ট ওয়ার্কার।
৩) আগেও বখাটেরা মেয়েদের জ্বালিয়েছে, এখনও জ্বালায়। তবে আগের চাইতে মাত্রা অনেক বেড়েছে। হাজারগুনে বেড়েছে। আগে মেয়েরা অতটা অনিরাপদ ফিল করে নাই রাস্তা ঘাটে চলাচল করতে, যা এখন করে। আর যতই মেয়েদের নিরাপত্তা কমে যাবে সমাজ, ততই মেয়েরা হিজাবের নীচে ঢুকে নিরাপদ ফিল করবে। সেই ক্ষেত্রে হিজাবের পিছনে না লেগে বখাটেদের পিছনে লাগুন। রাষ্ট্রকে বাধ্য করুন মেয়েদের নিরাপত্তা বাড়ানোর। সেই ক্ষেত্রে তো আপনাদের মুখ সাইলেন্ট থাকে। আর হিজাবের বিপরিতে বেশ বড় গলায় কথা বলেন। ব্যাপারটি খুব হিপোক্রেটিক।
আপনারা বলতে পারেন একেবারে হিজাব না পরলে কি হয়? তার জবাবে বলব এটা যার যার ধর্মীয় বিশ্বাস আর অধিকারের ব্যাপার। আপনাদের যদি হিন্দুদের শাখা সিঁদুরে কোন অসুবিধা না হয়, মেয়েদের জিন্স আর শার্টে অসুবিধা না হয়, তাহলে হিজাবে না হওয়াই উচিত। এই লজিক বুঝতে আপনাদের খুব বেশি ইন্টালিজেন্ট হতে হবে না।
আপনাদের হীনমন্যতা আপনাদের লেখায় খুব প্রকটভাবে উঠে আসে। আপনারা একচুয়ালি হিজাবের আসল কারন বিশ্লেষনে অপারগ। তাই সমালচনার সময় আপনাদের চোখে পড়ে রং বেরঙ্গের হিজাব, হিজাবের উপরের গয়না, গালের রং, ঠোটের রং ইত্যাদি। ফানি থিং ইজ, এইসব আপনারা নিজেরাও পরে থাকেন। নিজেদের বেলায় কোন সমালোচনা তো করেনই না, একই ব্যাপারে হিজাবীদের বেলায় খুললাম খুল্লা সমালোচনা।
আপনারা ধরেই নিয়েছেন যারা হিজাব করবে তাদের চরিত্র হবে বেহেস্তের হুরদের মতন। কেন? ভুলে যাবেন না আমরা সবাই মানুষ। ভুল ত্রুটি, পাপ-পুন্য আমাদের সবার মাঝেই আছে। আপনারা যা করছেন তার সব যেমন ভুল না, তেমন হিজাবিদের সব কাজও শুদ্ধ না। তাই বলে আপনাদের কেউ অধিকার দেয় নাই এভাবে হিজাবিদের বিরুদ্ধে কদর্য ভাষায় সমালোচনা করার। যতই চেষ্টা করুন নিজেদের মোরাল হাই গ্রাউন্ডে তুলতে, আপনাদের লেখা আপনাদেরকে ততই নীচের দিকে ঠেলছে।
‘গুগল ডার্লিং নেট দুনিয়ায় হাত বাড়িয়ে আছে।’ এটা লুসিফার লায়লার কথা। আমিও রিপিট করলাম। সার্চ দিয়ে দেখুন সারা দুনিয়ায় কি হচ্ছে। কিভাবে প্রগতিশীলদের মক্কা আমেরিকায় মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় সেখানে আন্দোলন চলছে। কিভাবে সেখানে মেয়েরা বিনা বাধায় হিজাব পড়ছে। কিভাবে সেখানে হিজাবি আর নন-হিজাবিরা কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে কাজ করছে। সমস্বরে আওয়াজ তুলছে।
দেখুন………… শিখুন……… প্রগতিশীল্তার আসল সংজ্ঞা কাকে বলে বুঝুন।
আর তা নাহলে স্বীকার করুন আপনারা নির্বোধ, মূর্খ, সংবেদনশুন্য, ভন্ড।

 

ভণ্ড হিজাবীরা কিন্তু একেকজন সানি লিওন ! – লুসিফার লায়লা

পাঠকের মতামত

Comments are closed.