172444

কৃত্রিম কিডনি তৈরি করলেন বাঙালি বিজ্ঞানি

কিডনির স্টোনে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন একেবারে দফারফা? ডায়ালিসিস ছাড়া কোনো উপায় নেই। খরচও প্রচুর। এবার মুশকিল আসান। কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে ফেলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী শুভ রায়। খুব তাড়াতাড়িই বাজারে আসতে চলেছে সেই কৃত্রিম কিডনি। এই কিডনিতে খরচও কম। আশা করা হচ্ছে ২০১৯ সালের মধ্যেই এই কিডনি বাজারে চলে আসবে।

কিডনি খাপার হয়ে গেলে ডায়ালিসিস ছাড়া কোনো উপায় নেই। এর জন্য রোগিকে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। খরচও নেহাত কম নয়। এই সবের মধ্যেই কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করে দারুণ একটি বিকল্প তৈরি করে ফেললেন বাঙালি বিজ্ঞানি।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষক এবং এই যন্ত্রের সহ-আবিষ্কারক শুভ রায় বলেছেন, চলতি দশকের শেষের দিকে বা নতুন দশকের প্রথমের দিকে এই কিডনি বাজারে পাওয়া যাবে। আমেরিকাতে এই কৃত্রিম কিডনি পরিক্ষামূলক ভাবে অনেকের দেহেই লাগানো হয়েছে।

কীভাবে কাজ করে এটি? শুভ রায় জানিয়েছেন,যন্ত্রটি সহজের পেটের ভিতরে স্থাপন করা যায়। স্বাভাবিক কিডনির মতো রক্ত শোধন করা ছাড়াও হরমোন উত্পাদন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। সাধারণ হিমোডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার মতো রক্ত থেকে বিষাক্ত বর্জ্য বাদ দেওয়া ছাড়াও জীবন্ত কিডনি কোষ দিয়ে তৈরি বায়ো রিঅ্যাক্টর এবং সূক্ষ্ণ পর্দার মাধ্যমে রক্ত শোধনের কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে কৃত্রিম কিডনি।কিডনি সমস্যায় ভারতে প্রতি বছর প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস এবং হাই ব্লাড প্রেশারই তার অন্যতম কারণ। কিডনির ক্রনিক সমস্যা সমাধানে ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ বিপুল। ২০১২ থেকে ২০১৬-র মধ্যে তামিলনাড়ুতে ২ লক্ষ ২১ হাজারের বেশি মানুষের ডায়ালিসিস করাতে খরচ হয়েছে ১৬৯ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। ডায়ালিসিস ছাড়াও ৬০ হাজারের বেশি মানুষ কিডনিতে পাথর এবং মূত্রাশয়ের চিকিত্সা করিয়েছেন। কৃত্রিম কিডনির সঠিক খরচের হিসাব এখনই না বললেও শুভ রায়ের দাবি, ডায়ালিসিস ও কিডনি প্রতিস্থাপনের চেয়ে অনেক কম খরচে বসানো যাবে কৃত্রিম কিডনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.