172229

শীতকালীন খাবারের

রকমারি ও মজাদার খাবারের জন্য শীতকাল প্রায় সবারই পছন্দের। এটা পিঠা-পুলির মৌসুম, এ সময়ই আমাদের দেশে গুড়, খেজুরের রস প্রভৃতি পাওয়া যায়। বিয়ে, নেমন্তন্ন, সামাজিক উৎসবও শীতেই বেশি হয়ে থাকে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা নেই বলে তেল-চর্বিযুক্ত ভাজা-পোড়া খাবার খেতে খারাপও লাগে না।
শহরে আজকাল শীতে কেউ কেউ বারবিকিউ করেন। এটা মাছ-মাংস ঝলসে খাওয়ার একটা পদ্ধতি। শীতে গরম খিচুড়ি, মাংস, পোলাও ইত্যাদিও চলে প্রচুর। এসব খাবার শরীরকে গরম রাখে ও শীতে খেতে ভালো লাগে বটে, কিন্তু এগুলো উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন—বিষয়টা মনে রাখবেন। এ ছাড়া শীতের দিনে ব্যায়ামের সময়-সুযোগ বা ইচ্ছেও কমে যায়। ঠান্ডার ভয়ে অনেকে মর্নিং ওয়াক বা সকালে হাঁটাহাঁটি ছেড়ে দেন। তাই শীতে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
তাহলে এই সময় আমরা কী খাব? শীতে আমাদের দেশে নিমন্ত্রণ-উৎসব বেশি হয়, সপ্তাহে দু-একবার ক্যালরিবহুল খাবার খাওয়া তো হয়েই যায়। তাই বাকি কটা দিন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করুন। শীতে রকমারি সবজি ওঠে বাজারে। এসব শাকসবজির পুষ্টিমান অনেক। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সবজি মিলিয়ে খান। সবজির স্যুপ করে খেলে শীতও কাটবে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় গরম স্যুপে লেবু দিয়ে বা গরম লেবু-চা পান করলে শীত কাটে, ঠান্ডা বা সর্দি-কাশিতেও আরাম হয়। যাঁদের টনসিল, হাঁপানি, ঠান্ডার সমস্যা আছে, তাঁরা হালকা গরম-গরম পানি পান করলে স্বস্তি পাবেন। এ সময় গরম চা, গরম দুধ, স্যুপ ইত্যাদি ভালো। নানা ধরনের সবজি রান্না করে না খেয়ে ভাপে সেদ্ধ করে খেলে পুষ্টি যেমন বেশি পাবেন, তেমনি শরীর গরম হবে। পিঠা-পুলি খাওয়ার সময় ডায়াবেটিস ও ওজনাধিক্য রোগীরা সতর্ক থাকবেন। কেননা, চাল ও গুড় দুটোই ওজন ও শর্করা বাড়ায়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.