172238

পাখির রাজ্য জাহাঙ্গীরনগর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন পাখির রাজ্য। দিনমান মুখর থাকে পাখির কলকাকলিতে। ক্যাম্পাস ঘেরা লেকে ছোট ছোট আসর বসিয়ে আছে শত শত পাখি। তারা কখনো আপন খেয়ালে পানিতে ডুবছে তো ফুড়ুত করে উড়াল দিচ্ছে আকাশে, কেউ আবার পালকের ভেতর মুখ গুঁজে পোহায় মিষ্টি রোদ।

এই পরিযায়ী পাখিগুলোকে আদর করে সবাই ডাকে অতিথি পাখি! শীতকালে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এই ‘অতিথি’ পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়, তার মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসও একটি। ডাঙাবাসী কিংবা জলচর—দুই ধরনের পাখিরই দেখা মেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ডানায় ভর করে উড়ে আসা এই পাখিগুলোর নামও ভারি বাহারি। পাতিসরালি, বড় সরালি, পাতারি, ফ্লাইক্যাচার, গার্গেনি, পান্তামুখী, পচার্ড, ছোট জিরিয়া, মুরগ্যাধি, কোম্বডাক, খয়রা, বামুনিয়া হাঁস, লাল গুড়গুটিসহ তাদের যে কত নাম!
প্রতিবছর শীতের শুরুতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে আবাস গড়তে শুরু করে এসব পাখি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে কবে থেকে আসতে শুরু করল পরিযায়ী পাখি? প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘১৯৮৬ সালে পাখি আসার তথ্য পাওয়া গেলেও ১৯৮৮ সাল থেকেই নিয়মিত আসছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৯৮ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে, যার মধ্যে আছে প্রায় ৬৯ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি।’

পাঠকের মতামত

Comments are closed.