171966

ওষুধ থেকেই তৈরি হচ্ছে মারণ ড্রাগস

ঠান্ডার লাগার পরে ওষুধ খেয়ে নিলেই সেরে যায়। চোরাপথে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারে ঢুকে পড়ছে সেই ওষুধ। কারবারিদের হাতে পড়েই সেই ওষুধ থেকে তৈরি হয়ে যাচ্ছে মারণ ড্রাগস। ইন্দো-মায়ানমার সীমান্তে ওষুধের চোরা কারবার এখন দূম্চিন্তা আয়াঙ্গনের

ভারত থেকে প্রতি বছর চোরাপথে মায়ানমারে ঢুকে পড়ছে ঠাণ্ডা লাগার এই ওষুধ। ট্যাবলেটে থাকা রাসায়নিকের পোশাকি নাম সিউডোএফিড্রিন। খুব সহজে পাওয়া যায় এই ওষুধ, প্রেসক্রিপশন লাগে না। আর, খুব সহজে সিউডোএফিড্রিন থেকে তৈরি হয় মারাত্মক মাদক মেথামফেটামাইন, চলতি নাম- ইয়া-বা।

কখনও চালের বস্তা, কখনও ট্রাকের চ্যাসিস, কখনও যাত্রীদের লাগেজ। হরেক পথে লুকিয়ে এই ট্যাবলেট ঢুকে পড়ছে মায়ানমারে। গত জুন মাসে পুলিস একটি গাড়িতে থেকে ষাট কেজি ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। খোলা বাজারে যার দাম সতেরো লক্ষ ডলার। সরাসরি মাদক পাচারের থেকে ওষুধের আদলে কাঁচামালের চোরাকারবারে ঝুঁকিও কম, লাভও বেশি। ভারতের বাজারে সিউডোএফিড্রিন বিক্রিতে কড়াক়ডি আছে। তবে সীমান্ত পেরিয়ে পাচার নিয়ন্ত্রণের কাজটা তত সহজ নয়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.