171879

থাইরয়েড থেকে সাবধান

আপাত নিরিহ মনে হলেও এই থাইরয়েডই হল শরীরের হাজার একটা সমস্যার প্রধান কারন।

অবসন্নতা, দুর্বলতা, ঘুম ঘুম ভাব, ওজোন বাড়া, খুব চেনা এই সব লক্ষনেই লুকিয়ে আছে রোগের পূর্বাভাস। আসলে এই সবই থাইরয়েডের লক্ষণ। এখনই শতর্ক না হলে বিপদ। থাইরয়েড হরমনের সামান্য তারতম্য হলেই এই ধরনের নানা সমস্যা দেখা যায় শরীরে। আমাদের গলার ঠিক নিচেই প্রজাপতির মত একটি গ্রন্থী থেকে থাইরয়েড হরমোন নিষ্কৃত হয়। মস্তিষ্ক, হৃৎযন্ত্র ও পরিপাক তন্ত্র পরিচালনায় থাইরয়েড হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে সাধারনত ২ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। গঠন গত সমস্যায় থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় যাকে গয়টার বলে। আর রয়েছে কার্যগত সমস্যা। হাইপার থাইরডিজম (থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বেশি মাত্রায় স্বক্রিয় হয়), হাইপো থাইরডিজম (থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কাজ করে না)। গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের মস্তিষ্কের বিকাশ নির্ভর করে থাইরয়েড হরমোনের উপরেই। এই হরমোনের অভাব শিশুর শারীরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও গাঁটে গাঁটে ব্যাথা, বুক ধড়পড়, শীত শীত ভাব, ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া, হাড়ের ক্ষয়, বন্ধাত্যের মত হাজারো সমস্যার আঁতুড় ঘর এই থাইরয়েড।

তাই চিকিৎসকরা বলছেন খাদ‌্যাভ্যাসে পরিবর্তন সঠিক খাদ্য গ্রহণ এবং সঠিক চিকিৎসার দ্বারাই থাইরয়েডের হামলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই খাদ্য তালিকাতে রাখুন প্রচুর শাকসবজি, কাজু, আমন্ড, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, আয়োডাইসড লবণ ইত্যাদি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.