171831

শরীরের অনেক রোগ সারানোর অব্যর্থ উপায় মিউজিক থেরাপি

অবসাদে ভুগছেন? সম্পর্কে তিক্ততা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে? শরীরের নানা ধরনের রোগ চেপে ধরছে? এই সব কিছুর সমাধান পেয়েছেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে গানই এই সব কিছু রোগের অব্যর্থ ওষুধ। তাঁরা মনে করেন শরীরের এই জন্মগত রোগ সারাতে মিউজিক থেরাপির থেকে বড় কোনো ওষুধ নেই। নিয়মিত ২৫ টি করে গান শুনলেই ব্যাক পেন চলে যায়। শান্তির ঘুমও পাওয়া যায়। মস্তিষ্কের অকেজো কোষগুলিকে ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বাভাবিক করে তোলে।

ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মেজাজ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। মস্তিষ্কের ডোপামিনের প্রভাবেই এই ঘটনা ঘটে। এই ডোপামিনকে নিয়ন্ত্রণ করে মিউজিক। উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ঘুমে জড়তা বা স্মৃতি লোপের মতো অসুখ সারাতে মিউজিকের বিকল্প নেই। মস্তিষ্কের পেশি স্বাভাবিক রাখে। ফলে, স্ট্রোকের কারণে লোপ পাওয়া বাকশক্তি ফিরে পেতে এবং পারকিনসন্স রোগ থেকে ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করা যায়।

এ ছাড়া সিজোফ্রেনিয়া, অ্যামনেসিয়া, ডিমেনসিয়া, অ্যালঝাইমার্স রোগের দুর্দান্ত ওষুধ মিউজিক। গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত গান শুনলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সুন্দর হয়। গবেষকদের দাবি, গান শোনার পর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ বাড়ে। মনোযোগ এবং দক্ষতাও বাড়ে। অটিজম আক্রান্ত শিশুর চিকিত্সায় মিউজিক থেরাপির জুড়ি নেই।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.