171658

শিশুদেরও বাত?

গা-হাত-পায়ের ব্যথায় কুপোকাত শিশু। অতিরিক্ত ব্যথায় পেনকিলার দিচ্ছেন তো! সাবধান। বাতে আক্রান্ত আপনার সন্তান। দ্রুত চিকিত্সা না করালে বাতের ব্যথায় ভুগতে হবে সারাজীবন।

বাচ্চারা তো ছুটবে, খেলবে, লুটোপুটি খাবে। শৈশবের এই বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসেই তো ওরা এভাবে ভেসে যাবে। বই-খাতা-পেন-পেনসিলের দুনিয়া থেকে একটু তো বিরাম চাই। কিন্তু হঠাত্‍ যদি শৈশবের এই উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়ে? ছোটাছুটি, খেলাধুলার প্রতিই যদি শিশুর অনীহা তৈরি হয়? বাবা-মায়েদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

কেন খেলতে চাইছে না শিশু? ছুটোছুটি করে কি গা-হাত-পায়ে ব্যথা? নাকি পড়ে গিয়ে হাত-পা মুচকেছে? নাকি ভেঙেছে কব্জি-কোমর-হাঁটু-গোড়ালির হাড়? নানান চিন্তা। অমনি অস্থি বিশেষজ্ঞদের কাছে ছুটলেন বাচ্চাকে নিয়ে। শুরু হল চিকিত্সা। ওষুধও খেতে শুরু করলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কপালের ভাঁজ বাড়ছে বাবা-মার।

শিশুর গাঁটে গাঁটে ব্যথা। ফুলে উঠেছে অস্থিসন্ধি। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই ব্যথা। জ্বরও কমছে না। কারণ, ওই শিশু বাতে আক্রান্ত। সাধারণত হাঁটু, হাত ও পায়ের জোড়ায় বাত রোগ দেখা যায়। কাঁধ ও চোয়ালেও বাত হতে পারে। অনেক সময় হাঁটুর দুদিক ও কোমরের নিচের অংশও আক্রান্ত হয়।

সংক্রমণের ফলে হাড়ের সংযোগস্থল ফুলে গিয়ে গরম হয়ে যায়। এই রোগের উত্পত্তি কীভাবে, তা সুস্পষ্ট জানা যায় না। এটা অটো ইমিউন রোগ, অর্থাত্‍ প্রতিরোধ শক্তি নিজেই নিজেকে আক্রমণ করে বসে। মানে শরীরই শরীরের বিরুদ্ধে লড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিনঘটিত কারণেও শিশুর বাত হতে পারে। প্রথমে অস্থিসন্ধির ওপরের ত্বক আক্রান্ত হয়। এরপর আক্রান্ত হয় কার্টিলেজ।

দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সা শুরু করতে পারলে ফের প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠবে শিশু। ষোলো বছর বয়সের আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে শিশু। তবে চিকিত্সার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে- কোনওমতেই শিশুকে মোটা হতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করাতে হবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.