চুলের সৌন্দর্যে রিবন্ডিং

Image result for straight best hair photo

 

মানুষের সৌন্দর্যের একটি অপরিহার্য অংশ হচ্ছে চুল ।আর এই চুলকে সুন্দর রাখার জন্যই না কত ব্যাবস্থা । তারই একটি বর্তমানে বহুল ব্যাবহৃত পদ্ধতির নাম রিবন্ডিং । এটি সর্বপ্রথম ব্যাবহৃত হয় ১৮৯০ সালে । কোঁকড়া বা বাঁকানো চুল সোজা করার পদ্ধতির নামই রিবন্ডিং।

তবে বহুল ব্যাবহৃত এই পদ্ধতির অনেক ক্ষতিক‍ারক দিকও রয়েছে । চুল সোজা করার এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর কেমিকল ব্যবহার করা হয়। আর যে কোনো ধরনের কেমিকলই চুলের জন্য ক্ষতিকর।
চুল ষ্ট্রেট বা সোজা হওয়ার পাশাপাশি আলাদা কেমিকল এর মাধ্যমে উজ্জ্বলতা যুক্ত হয় । ফলে প্রথমে সুন্দর থাকলেও কিছুদিন পরই চুল প্রাণহীন ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ।অনেকক্ষেত্রে চুল পেঁকে যায় । আর যাদের চুলে একাধিকবার রিবন্ডিং করা হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও প্রকোপ ভাবে দেখা দেয় এবং চুল পড়া শুরু হয়।

সৌন্দর্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চুল রিবন্ডিং করার ফলে কি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তারই বিস্তারিত তুলে ধরা হল:

(১)রিবন্ডিং করার পর চুল অত্যন্ত সংবেদনশীল ও দুর্বল হয়ে যায়। তাই এই সময় তুলনামূলক বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
(২) চুল রিবন্ডিং করার পর এক মাস চুল বাঁধা যাবে না কোনোভাবেই, এমনকি কানের পিছনেও চুল গুঁজে রাখা চলবে না। এর যে কোনো একটি করলেই চুল বরবাদ হয়ে যাবে।
(৩)এই প্রক্রিয়ায় কিছু বাড়তি তাপও দেওয়া হয় যা চুল ও মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি চুল ও মাথার ত্বক পুড়িয়েও ফেলতে পারে। যদি রিবন্ডিংয়ে ব্যবহৃত কেমিকল দীর্ঘ সময় চুলে লাগিয়ে রাখা হয় তাহলে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া ব্যবহৃত ধাতুর পাতের তাপমাত্রা বেশি হলেও চুল পুরে যেতে পারে।
(৪)রিবন্ডিং করা চুলের জন্য বাড়তি ট্রিটমেন্ট নিতে হয়। এক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস পরপর চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত দক্ষ কারও হাতে।

(৫)এই প্রক্রিয়ায় যে কেমিকেল ব্যবহার করা হয় তার কারণে চুল পড়ার হারও বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া একবার রিবন্ডিং করার পর নিয়মিত ‘টাপ আপ’ প্রয়োজন। আর প্রতিবার ওই ট্রিটমেন্টের পর চুল আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

রিবন্ডিং করানোর পর হেয়ার স্টাইলিস্টের পরামর্শ মতো যত্ন না নিলে চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি রিবন্ডিং সঠিকভাবে করা না হলেও চুল সুন্দর হওয়ার বদলে বরং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.