‘এ বুক অ্যাবাউট লাভ’ এ অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ নিয়ে যা লিখেছেন জোনাহ লেহরা

amir & eme

মডেল : আমির পারভেজ, জাকিয়া ইমি

লাইফস্টাইল ট্যাংক : ‘এ বুক অ্যাবাউট লাভ’ বইটিতে জোনাহ লেহরার আবিষ্কার করেছেন ভালোবাসার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। ভালোবাসা আমাদের জীবনকে কিভাবে অর্থপূর্ণ করে তাও দেখার চেষ্টা করেছেন তিনি।

এই বইয়ের বিয়ে সংক্রান্ত অংশে লেহরার বেশ কিছু অদ্ভুত বিষয় নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তিনি তুলে ধরেছেন অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে ভালোবাসার প্রকৃতি। তিনি কয়েকটি গবেষণার কথা উল্লেখ করেছেন। দেখিয়েছেন, সবার সম্মতিতে বিয়ে করলে ভালোবাসা কিভাবে সময়ের সঙ্গে এগোতে থাকে। দেখা হওয়ার সময় সঙ্গী-সঙ্গিনীর প্রতি ভালোবাসা অনুভব না করলেও তা ১০ বছর পর করতে পারেন।

এই আয়োজিত বিয়ে নিয়ে যে বিষয় ফুটে উঠেছে, মানুষ তার চাকরির প্রতিও যে একইভাবে ভালোবাসা গড়ে তোলেন তাই দেখেছেন শানা লেবোউৎজ। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের গবেষক প্যাট্রিসিয়া চেন-এর এক গবেষণায় বলা হয়, যে মানুষগুলো সময়ের সঙ্গে তার পেশাদার কাজের প্রতি ভালোবাস গড়ে তোলার চিন্তা করেন তারা সুখী থাকেন। ঠিক তেমনি যারা মনের মতো চাকরি খোঁজার চিন্তা করেন, তারাই প্রথম থেকেই তার কাজের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করেন।

বিজ্ঞান বলছে, সঙ্গী-সঙ্গিনী বা চাকরির প্রতি ভালোবাসা ও আবেগ গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা দরকার।

লেহরার বইটি লেখার সময় অনেক দম্পতির সাক্ষাৎকার নেন। তাদের সবারই অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হয়েছিল। অধিকাংশ স্ত্রীরা জানান, যত সময় যাচ্ছিল তারা ততই স্বামীকে আবিষ্কার করছিলেন। ধীরে ধীরে তার প্রতি ভালোবাসা বাড়ছিল। রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে দরকার সীমাহীন প্রচেষ্টা।

এমনকি পছন্দের মানুষকে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ভালোবাসার অন্তিম রূপ পেতে প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

চেনের গবেষণায় দেখা গেছে, যে কর্মীরা বিশ্বাস করেন যে ক্রমেই তারা চাকরির প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলবেন, তারা উচ্চ পারিশ্রমীকের কিন্তু কম পছন্দের চাকরি বেছে নেন। আর যারা প্রথম থেকেই পছন্দের চাকরি খোঁজেন, তারা কম পারিশ্রমীকেই পছন্দের কাজটি চান। এরা চাকরি থেকে খুব বেশি অর্থ না পাওয়ার কারণে এক সময় হতাশা আসতে পারে। কিন্তু কাজটাকে আরো বেশি অর্থপূর্ণ করতে প্রচেষ্টা চালান তারা। এ কারণে তৃপ্তি কাজ করে মনে।

আসলে কাজকে আরো অর্থপূর্ণ করতে এবং ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ধরে রাখতে তার শৈল্পিক রূপ দিতে হবে নিজ হাতে।

এক গবেষণায় হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের তৃপ্তি দেখতে পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা গেছে, যারা কেবল অর্থের জন্য এ কাজ করছেন তারা এ পেশায় কোনো আনন্দ পান না। কিন্তু যারা কাজটিকে পছন্দ করে দায়িত্ব পালন করছেন, তারা এ কাজে অর্থ খুঁজে পান এবং তারা অনেক তৃপ্ত।

কাজেই যদি চাকরি এবং সঙ্গী-সঙ্গিনীকে নিজের জন্য সঠিক বলে মনে করে, তবে উভয় ক্ষেত্রে অর্থ খুঁজে পাবেন। মূলত আমাদের ভালো থাকা ও তৃপ্তি ধরা-ছোঁয়ার ভেতরেই রয়েছে। এর সঙ্গে লেগে থেকে কেবল কব্জা করতে হবে।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

পাঠকের মতামত

Comments are closed.