ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন : যে ভিডিও শেখ শাদীর কথা মনে করিয়ে দেয়

ভালো পোশাক পরলে ভালো অভ্যর্থনা পাওয়া যায়৷ আর পোশাক বা চেহারা খারাপ হলে জোটে তিরস্কার৷ মহাকবি শেখ সাদীর বেলায়ও ঘটেছিল সেই ঘটনা৷ কিন্তু তিনি যেভাবে জবাব দিয়েছিলেন, ছোট্ট এই মেয়েটি সেই জবাব দিতে পারেনি৷
ইউনিসেফ সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রতিবেদন বানিয়েছে৷ যার শিরোনাম ‘উড ইউ স্টপ ইফ ইউ স দিস গার্ল অন দ্য স্ট্রিট?’ অর্থাৎ ‘এই মেয়েটিকে রাস্তায় দেখলে তুমি কি একটু দাঁড়াবে?
আনানো ছ’বছরের শিশু অভিনয় শিল্পী৷ জর্জিয়ার একটি রাস্তায় মেকআপ করে, সুন্দর জামা পরিয়ে দাঁড় করানো হয়েছিল তাকে৷ একলা দেখে অনেকেই এগিয়ে এসে তার কুশল-সংবাদ নিয়েছিল, চেয়েছিল সে হারিয়ে গেছে কিনা৷ মজা হলো, এরপর মেয়েটির মুখে কালি-ঝুলি লাগিয়ে, নোংরা পোশাক পরিয়ে আবারো দাঁড় করানো হয়েছিল রাস্তায়৷ অবাক কাণ্ড! এবার মানুষের প্রক্রিয়া ছিল একেবারেই ভিন্ন৷ আর এই ভিডিওটি দেখলেই তা বুঝবেন৷
রাস্তার পর এক রেস্তোরাঁয় একইভাবে আনানোকে দু’বার দু’রকমের পোশাক পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ সেখানেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা গেল৷
ভালো পোশাকে তার প্রতি মানুষের আগ্রহ যে কতটা ছিল, তা দেখলেই বুঝবেন৷ কিন্তু নোংরা পোশাকে মানুষের প্রতিক্রিয়া এই ছোট্ট মেয়েটি সহ্য করতে পারেনি৷ যারা পরীক্ষাটি করছিলেন, তারা তখন বাধ্য হন এটি আর না চালিয়ে যাওয়ার৷ কেননা আনানো ভীষণ বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল মানুষের আচরণে৷ তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল – কেন এতটা বিমর্ষ হলে তুমি? জবাব আনানো বলেছিল, ‘‘জামা-কাপড় নোংরা, মুখে কালি – এটা আমার মোটেই ভালো লাগছে না৷” আসলে আনানো নোংরা পোশাকে খুবই দুঃখী হয়ে পড়েছিল৷ তার সবচেয়ে কষ্ট লেগেছিল, যখন ঐ পোশাক পরার ফলে মানুষ তাকে চলে যেতে বলেছিল, তাড়িয়ে দিচ্ছিল৷
সে একজন ক্ষুদে শিল্পী হওয়ার পরেও যখন তার প্রতি মানুষের এমন প্রতিক্রিয়া, তাহলে রাস্তায় পড়ে থাকা লাখো, অবহেলিত শিশুদের কথা একবার ভাবুন৷ একবার ভাবুন তাদের কেমন কষ্ট হয়!
ইউটিউবে এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার বার৷
https://www.youtube.com/watch?v=MQcN5DtMT-0

পাঠকের মতামত

Comments are closed.