পুরুষদের ত্বকের যত্নে কয়েকটি পরামর্শ

amir parvez 1

মডেল : আমির পারভেজ

লাইফস্টাইল ট্যাংক : ১. প্রতিদিনই গোসল করতে হবে। শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার ৬ ঘন্টা পর সাধারণত দুর্গন্ধ তৈরি হয়। গোসলের সময় সাবান দিয়ে ঠিকমতো গা মাজলে জীবাণু, ধুলো-ময়লা এবং দুর্গন্ধ দুর হয়। ঘাড়, বোগল এবং পাসহ শরীরের সব অংশই ধুতে হবে। শরীরের এসব অংশেই বেশি জীবাণু জমা হয়। আর আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে সাবানমুক্ত বাথ জেল বা গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করুন।
গোসলের পরপরই ত্বক ভেজা থাকা অবস্থায়ই বডি লোশন লাগান। এতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় আবহাওয়া যখন গরম ও সেঁতসেঁতে থাকবে তখন ট্যালকম পাউডার, সুগন্ধি দ্রব্য এবং ডিওডোরান্ট ভালো কাজে লাগবে।
২. মুখে ছোট এবং পরিপাটি দাঁড়ি থাকলে তা পরিষ্কার রাখতে ফেস ওয়াশই যথেষ্ট। তবে জেলভিত্তিক কোনো পণ্য হলে আরো ভালো। আর লম্বা দাঁড়ির জন্য সাবানমুক্ত বাথ বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রাখবেন ডিটারজেন্ট এবং সাবান শুধু মুখের দাঁড়ি-চুলকেই শুকনো ও রুক্ষ করে তোলেনা বরং ত্বককেও শুষ্ক করে তোলে। সূতরাং নমনীয়, হারবাল ওয়াশ, বাথ জেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৩. অনেকের ধারণা বেশি দামি পণ্য হলেই যে তা ভালো হবে এমনটা নয়। কিন্তু সত্যি হলো, বেশি দামি পণ্যে এমন সব উপাদান থাকে যেগুলো সত্যিই ব্যয়বহুল। যেমন আয়ুর্বেদিক কিছু পণ্য আছে যেগুলোতে এমন মৌলিক তেল এবং গাছের নির্যাস আছে যা খনিজ তেল এবং অন্যান্য কৃত্রিম উপাদান থেকে অনেক বেশি দামি।
এছাড়া ব্র্যান্ডগুলো তাদের রিসোর্স অ্যান্ড ডেভেলপমন্ট এবং পণ্যের গুনাগুন ও উন্নয়নে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। সূতরাং ব্যয়বহুল পণ্য আসলে সবই বাজারের প্রতারণা নয়। বরং ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি ও বাজারজাতকরনের খরচ আসলেই বেশি। পুরষরা ব্রণ ও চুলপড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে সাধারণত বেশি দামি ব্র্যান্ডের পণ্যই ব্যবহার করেন।
৪. দেহের সব উন্মুক্ত জায়গাগুলোতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ঘাড়ের পেছন দিক এবং হাতের বাহুগুলোই সাধারণত সূর্যের তাপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে সবচেয়ে বেশি। রোদে বের হওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এক ঘন্টার বেশি রোদে থাকতে হলে পুনরায় সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।
ঘাম, তেল, ধুলো-ময়লা এবং দূষিত উপাদান থেকে ত্বককে মুক্ত রাখতে হলে রাতেও ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এতে ত্বকের তেল চিটচিটে ভাব কেটে গিয়ে ত্বক ব্রণের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে। ত্বক পরিষ্কারের সময় পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করুন। লোমকুপগুলো পরিষ্কার রাখার জন্য সপ্তাহে দুইবার ফেসিয়াল স্ক্র্যাব ব্যবহার করুন। ত্বকের মৃত কোষগুলো দুর করুন এবং ঘষেমেজে আরো উজ্জ্বল করুন।
৫. ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টোটকার মধ্যে তরমুজের জুস ভালো। এটি ত্বককে জুড়িয়ে তাজা ও নমণীয় করে। এছাড়া আপনি এই মুখোশগুলোও ব্যবহার করতে পারেন:
সব ধরনের ত্বকের জন্য: কলা, আপেল, পেপে এবং কমলা একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ২০-৩০ মিনিট পর এই মুখোশ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক জুড়িয়ে আসে, মৃত কোষগুলো পরিষ্কার হয় এবং তামাটে বর্ণ দুর হয়।
ত্বক জুড়াতে: শসার জুসের সঙ্গে দুই চা চামচ পাউডার দুধ এবং একটি ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট মুখমণ্ডল এবং ঘাড়ে লাগান। আধা ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: এক টেবিল চামচ মুলতানি মিট্টির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট মুখমণ্ডলে লাগান। পেস্টটি শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত এবং সমস্যাযুক্ত ত্বকের জন্য: এক টেবিল চামচ লেবু জুস এবং এক টেবিল চামচ গোলাপ জল নিন। এর সঙ্গে পুদিনা পাতার গুড়ো মিশিয়ে এক ঘন্টা রেখে দিন। এরপর তা ছেঁকে তরলটুকু মুখমণ্ডলে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে তৈলাক্ত ভাব কেটে গিয়ে ত্বক আরো সজীব হয়ে উঠবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.