এইচআইভি’র নতুন জাত: প্রাণীদেহ থেকে লাফিয়ে সোজা মানুষের দেহে!

প্রাণঘাতী এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব জনসংখ্যার বড় একটা অংশ এইচআইভি মহামারীতে হুমকির মুখে পড়ে আছে। এরই মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো নতুন তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা। জানালেন, এই ভাইরাসের নতুন একটি ধরন প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের দেহে রীতিমতো লাফিয়ে এসে প্রবেশ করছে। আর এটাকে আটকানোর কোনো উপায় নেই।

এক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ওই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, শিম্পঞ্জিদের একটি প্রজাতি সিমিয়ান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এসআইভি) বহন করছে। ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের মতে, এসআইভি হলো এইচআইভির পূর্বপুরুষ। আর এসআইভি সহজেই মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নেবরাস্কা-লিনকনের প্রফেসর কুইংসহেং লি জানান, যদি এসআইভি মানুষের দেহে এখন পর্যন্ত প্রবেশ না করে থাকে তবে এইচআইভি’র মতো আরেক মারাত্মক ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিলো। তবে উত্তরটা হলো, এরা মানুষের দেহে প্রবেশ করে। বিশেষ পর্যায়ে তারা অদ্ভুতভাবে এইচআইভি’র নকল হয়ে উঠতে পারে।

বিজ্ঞানীরা জানান, এইচআইভি-১ এম-এর পূর্বপুরুষ এসআইভি যা কিনা বিশ্বব্যাপী এইচআইভি ছড়িয়ে দিয়েছে। এর আরেক পূর্বপুরুষের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে কেবলমাত্র ক্যামেরুনের মানুষের মাঝে। আর এই ভাইরাস প্রাণীর দেহ থেকে লাফিয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে।

গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা আরো দেখেন যে, মানুষের দেহে এসআইবি শনাক্ত করা যায়নি। তবে এরা মানুষের কোষে হানা দিতে সক্ষম।

জার্নাল অব ভাইরোলজি’তে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

গ্লোবাল হেলথের জন্য ক্রমশই নিয়মিত হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে সংক্রমক রোগ। এটা সামাজিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং অর্থনীতিতেও দুর্যোগ নামিয়ে আনছে।

প্রধান গবেষক ঝে ইউয়ান বলেন, এসআইভি এবং প্রাণীদেহের অন্যান্য কিছু ভাইরাসের ভয়াবহতা বেরিয়ে এসেছে এই গবেষণায়। এরা বিশ্বের কোনো এক অঞ্চলে মহামারী আকারে বা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যেতে পারে। সূত্র : এনডিটিভি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.