সুপারফুডে সুস্বাস্থ্য

বৈচিত্র্যময় খাবারে আমাদের পরিপুষ্ট করে প্রকৃতি। এর মধ্যে কিছু খাবারকে আবার সুপারফুড বলা হয়। দীর্ঘ সময়ের ব্যস্ততা, ঘুম কমে আসা আর নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় জর্জরিত আমরা। এ অবস্থায় সুপারফুডই আমাদের সুস্থ রাখতে পারে। প্রতিদিন তাই এসব খাবার কিছু হলেও খাওয়া উচিত। এখানে সেই পরিচিত খাবারগুলো সম্পর্কে আবারো কিছু জেনে নিন।

১. আপেল : প্রতিদিন একটি আপেল চিকিৎসককে দূরে রাখে। এমন একটি কথা প্রচলিত রয়েছে। এই সুপারফুডে রয়েছে ফাইবার যা হজমে সহায়ক। এরা ভিটামিন এ, সি এবং ই, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো ক্যান্সারসহ বহু রোগকে দূরে রাখে।

২. আলমন্ড এবং ওয়ালনাট : স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতে আলমন্ড বেশ উপকারী। এই দুই বাদামে রয়েছে মনোআনস্যাটুরড ফ্যাট এবং পলিআনস্যাটুরড ফ্যাট। এগুলো হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। বাজে কোলেস্টরেল নামে পরিচিত লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) দূর করে। এদের পুষ্টিগুণ ব্যাপক। ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী।

৩. অ্যাভোকাডো : একে ‘প্রকৃতির মাখন’ বলা হয়। বেটাসিটোস্টেরলের অন্যতম উৎস। এই উপাদান কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আরো আছে ফাইবার, ফোলিক এসিড, ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম। হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী মনোআনস্যাটুরেটেড ফ্যাটও রয়েছে এতে।

৪. মুসাম্বি : ওজন কমাতে বেশ উপকারী মুসাম্বি। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এর পেকটিন।

৫. কলা : পটাশিয়াম ও আয়রনের অন্যতম উৎস কলা। দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতেও সহায়তা করে এটি। হজমেও সহায়ক এই সুপারফুড। প্রতিদিনই তাই কলা খাওয়া উচিত।

৬. গ্রিন টি : ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকর এটি। দেহের বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু রাখে গ্রিন টি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম সেরা উৎস। ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না সহজে।

৭. দই : এটা ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস। হাড় গঠনে অতি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো এই ক্যালসিয়াম। প্রোটিনেরও ভালো উৎস দই। হজমে সহায়ক। নিম্নমাত্রার ফ্যাট যারা খোঁজেন তাদের জন্যে উপকারী। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

পাঠকের মতামত

Comments are closed.