ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে পার্লারের বিশেষ একটি সেবায়

Parlar_Nesshomoyআধুনিক যুগের ছেলেমেয়েরা অনেকেই বিউটি পার্লারে গিয়ে থাকেন। নিজের পছন্দ মতো হেয়ার স্টাইল, কিংবা মেকাপ করতে কার না ভালো লাগে বলুন। কিন্তু সাবধান! বিউটি পার্লারের সব সেবা কিন্তু নেবে না। কারণ বিশেষ কিছু সেবা রয়েছে, যেগুলোতে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ করে লেজার ট্রিটমেন্ট। খবর-ফক্স নিউজ।

খবরে বলা হয়, সম্প্রতি এক নারী এমনই এক প্রশ্ন করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে। ওই নারীর প্রশ্নটি ছিল- ‘আমার সামনে হানিমুন রয়েছে। আর এ অবস্থায় আমার দেহে যেহেতু বেশি পশম তাই আমি লেজার হেয়ার রিমুভালের মাধ্যমে বাড়তি চুল ও পশম দূর করার চিন্তাভাবনা করছি। এখন প্রশ্ন হলো এটি কি ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়াবে?
এ বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক শহরের ডার্মাটোলজিস্ট ড. হুইটনি বোউই।

বিশেষজ্ঞের উত্তর ছিল- ক্যান্সারের ঝুঁকি হিসাব করলে এক্সরে ও গামা রশ্মির বিকিরণ সবচেয়ে বিপজ্জনক। এগুলো নানা চিকিৎসাক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। আয়োনাইজড রেডিয়েশন দেহে প্রবেশ করে ডিএনএ সেল ধ্বংস করে এবং ক্যান্সারের কারণ হয়।
তবে এ ঝুঁকি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এফডিএ) লেজার এনার্জিকে নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশনের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

লেজার থেকে হালকা এনার্জি বিচ্ছুরিত হয় হয়, যা ত্বক পর্যন্তই থেকে যায়। আর এ কারণে তা ডিএনএ ধ্বংস করার পর্যায়ে পৌঁছায় না। লেজার হেয়ার রিমুভ্যালে মূলত লেজার রশ্মি ব্যবহার করে চুলের গোড়াগুলোতে তাপ দেওয়া হয়। এতে চুলের মূল নষ্ট হয়।
বহু নারীই তাদের এ লেজার হেয়ার রিমুভ্যালে ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে কি না, জানতে চান। এ কারণে অনেকেই সংবেদনশীল অঙ্গের আশপাশে লেজার হেয়ার রিমুভ্যাল থেকে বিরত থাকেন। যদিও এর বাড়তি কোনো ঝুঁকি পাওয়া যায়নি।

হালকা লেজার ব্যবহৃত হওয়ায় এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে না বলেই জানা গেছে। দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নয় বরং দেহের ত্বক ও ত্বক সংলগ্ন অংশেই এ লেজারের কার্যকারিতা থাকে। ক্যান্সারের ঝুঁকি না বাড়লেও ত্বকের ওপর এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাঝে রয়েছে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ত্বকে দাগ হওয়া ও ত্বকের রঙ বদলে যাওয়া উল্লেখযোগ্য।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.