274579

দ্রুত বদলে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের ধরন, নতুন নতুন মিউটেশনে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর?

বিশ্বজুড়ে সবার নজর এখন করোনার নতুন মিউটেশন নিয়ে।  ২০১৯ সালে প্রথম বারের মত শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে বহুবার নিজের ধরন পাল্টেছে এই ভাইরাস।  সর্বশেষ ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণে মৃত্যুপুরিতে রুপান্তরিত হয়েছিলো প্রতিবেশি দেশ ভারত।  বিবিসি

করোনার এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখন ভারত ছেড়ে বাংলাদেশেও সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।  সর্বশেষ যে ভ্যারিয়েন্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরে এসেছে সেটি হচ্ছে ল্যাম্বডা।  ২০২০ সালে প্রথম বারের মত আমেরিকা মহাদেশের পেরুতে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ৩০ টি দেশে ছরিয়ে পরেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। সিএনএন

প্রশ্ন হচ্ছে কেন এত দ্রুত পরিবর্তীত হচ্ছে করোনা ভাইরাস?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন গবেষকদের মতে, মূলত বেঁচে থাকার জন্য এবং বংশবৃদ্ধির জন্য ভাইরাসের দেহে এই পরিবর্তন ঘটে।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন খুবই সুক্ষ।  কোন কোন সময়ে এই মিউটেশনের ফলে ভাইরাসেরই ক্ষতি হয়।  তবে বড় ধরণের মিউটেশনের ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়।  এনবিসি

মূলত ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে অথবা ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে মানুষের দেহে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙ্গে ফেলার জন্যই ভাইরাস নিজের মধ্যে মিউটেশন ঘটায়।

তাহলে কি করোনার নতুন ধরনে ভ্যাকসিন অকার্যকর?

এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সর্বোচ্চ মিউটেড ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে করোনা ভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমক ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট।  তবে সম্প্রতি ব্লমবার্গের এক প্রতিবেদনে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত যেসব ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে তার সবগুলোই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর।  তাহলে বলাই যায় করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকর।

 

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.