272119

মাত্রাতিরিক্ত যৌনতার কারণে ভারতে নিষিদ্ধ যেই সিনেমাগুলো

ভারতে প্রতি বছরই এমন অনেক সিনেমা রিলিজ হয়, যেগুলিকে সেন্সর বোর্ডের চোখরাঙানি সহ্য করতে হয়। আবার এমন অনেক সিনেমাই রয়েছে, যেগুলিকে সেন্সর বোর্ডের তরফে পুরোপুরি ব্যানড করে দেওয়া হয়েছে। অথচ দেখা গিয়েছে, সেই ছবিগুলিই আবার বিদেশে গিয়ে ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলেছে।

ব্যবসার নিরিখেও এবং সমালোচকদেরও মন জিতে নিয়েছে সেই সব সিনেমা। এমনই কিছু সিনেমার নাম জেনে নেওয়া যাক, যেগুলি ভারতে কখনও রিলিজ হয়নি অথচ বিদেশের মাটিতে অত্যন্ত সফল।

আনফ্রিডম-

একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, আর তা মূলত একটা সন্ত্রাসবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে– এই বিশেষ কারণেই ভারতে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল ‘আনফ্রিডম’ ছবিটি। সমকামী সম্প্রদায়ের জীবন ফুটে উঠেছিল এখানে। রাজ অমিত কুমার পরিচালিত এবং প্রযোজিত এই ছবিটি ভারতে কখনও মুক্তি পায়নি। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, আদিল হুসেনের মতো জাঁদরেল অভিনেতারা এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এখন ইউটিউবে চাইলেই আপনি দেখে নিতে পারেন ‘আনফ্রিডম’।

গুলাবী আয়না বা দ্য পিংক মিরর-

জেন্ডার ইস্যু ভারতে সবসময়েই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। আর তা নিয়ে যখন একটা সিনেমা তৈরি হচ্ছে বিতর্ক তো হবেই। ২০০৩ সালে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল ”দ্য পিংক মিরর’। অশ্লীল দৃশ্য রয়েছে বলে ভারতে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল এই ছবি। যদিও ছবিটিগোটা বিশ্ব দরবারে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

গান্ডু-

এক ক্রুদ্ধ কমবয়সী র‌্যাপার গান্ডুর স্বপ্ন সফল করার কাহিনি। আর সঙ্গে তার দোসর রিক্সা চালকের রোজনামচা। ছবিতে ন্যুডিটি, গালিগালাজ, ড্রাগের নেশা–ইত্যাদির কারণেই কখনও রিলিজ করতে দেওয়া হয়নি। তবে কৌশিক মুখোপাধ্যায়র ‘গান্ডু’ ২০১০ সালে নিউইয়র্কে ‘সাউথ এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রিমিয়ার হয়েছিল। পরের বছরই ‘বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব’ এবং ‘স্লামডান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এও মুক্তি পেয়েছিল ‘গান্ডু’।

ডেজড ইন দুন-

দুন স্কুল যে ভারতের নামজাদা স্কুলগুলির একটি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই স্কুল আর স্কুল পড়ুয়াদের নিয়েই তৈরি হয়েছিল ‘ডেজড ইন দুন’। ছাত্রদের অত্যধিক পরিমাণে ড্রাগের নেশা এবং ন্যুডিটি দেখানো হয়েছিল এই ছবিতে। সেই কারণেই ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল ‘ডেজড ইন দুন’। অশ্বিন কুমার পরিচালিত এই ছবি বিদেশে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।

পাঁচ-

অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘পাঁচ’। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এক্কেবারে ঘরোয়া আড্ডাতে হালকা গালমন্দ করে যে ভাবে কথা বলা হয়, সেই অত্যন্ত সাবলীল ছন্দই ফুটে উঠেছিল এই ছবিতে। ‘পাঁচ’ ছবিটির মূল বিষয়বস্তু ছিল ড্রাগের নেশায় একটা উঠতি ব্যান্ড কী ভাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে হারিয়ে যায়। তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে গালিগালাজ, যৌনতার মতো বিষয়ও দেখানো হয়েছিল ছবিতে। অনুরাগের ‘পাঁচ’ ভারতে মুক্তি পায়নি। সমালোচকদের বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছিল ‘পাঁচ’।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.